
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বাড়িতে কালীপুজো ছিলো। তাই মা ছেলেকে বাড়ি আসতে বলেছিলেন। মায়ের অনুরোধে বাড়ি ফিরছিলেন দিনহাটার ভিলেজ টু গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শিবা রায়। কিন্তু বাড়ি ফেরার আগেই ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়ে যায় শিবা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৫ টাতেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শিবা। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ নেই । তার ফোনে একবার যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও সেই ফোন তোলেন অন্য কোন এক ব্যক্তি। ফোন তুললেও শিবার খোঁজ পাওয়ার আগেই মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে শুক্রবার রাত থেকেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে গোটা পরিবার। বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজ করেন শিবা। সম্প্রতি তাঁর বিয়েও ঠিক হয়েছে । বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে ছিল কালীপূজা। সেই কালীপুজোতে ফিরে আসার জন্য মা জেদ ধরেছিল ছেলের কাছে। ছেলের কাছে টাকা না থাকায় শিবার মা ট্রেনের টিকিটের জন্য টাকা পাঠায়। মায়ের পাঠানো টাকা পাওয়ার পরেই টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন শিবা। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ নেই । এই ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই এলাকারই আর এক যুবক নব্যেন্দু গোস্বামী। গতকাল রাতেই এই দুই পরিবারের পাঁচজন সদস্য কোচবিহার জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বর্তমানে শিবার খবরের অপেক্ষায় শিবার পরিবারের সদস্যরা। শিবার মা লক্ষ্মী রায় বলেন, বাড়িতে কালীপূজা উপলক্ষে তাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন তিনি। টাকা না থাকার জন্য সে আসতে চায়নি। তাই তাকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। টাকা পাওয়ার পর সে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে। গতকাল সন্ধ্যা ৫ টা পর্যন্ত তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে তার মোবাইল সুইচ অফ। একবার তার মোবাইলে ফোন লাগে কিন্তু অন্য কেউ ফোনটা তুলেছিল। সামান্য কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলটি সুইচ অফ হয়ে যায়। শিবা কোথায় আছে কি অবস্থায় আছে আমরা কিছু খবর পাচ্ছি না। গতকাল রাতেই পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় দুটি পরিবারের পাঁচজন উড়িষ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —