নিজস্ব সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ারঃকথায় আছে, নদীর পারে বাস,চিন্তা বারোমাস। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও ও জটেশ্বর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাকে আড়াআড়ি ভাগ করেছে মুজনাই নদী।ফি বছর বর্ষা এলেই জলের তোড়ে ভেসে যায় নদী পারাপারের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।
এবছর বর্ষার শুরুতেই ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নবনগর কালিবাড়ি এলাকায় মুজনাই নদীর উপর বাঁশের সাঁকো ভেসে গিয়েছে প্রায় সপ্তাহখানে আগে। তারপরই নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন থার্মোকলের ভেলা। আর তারপর নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই থার্মোকলের ভেলা। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না থাকায় বিপজ্জনকভাবে ছোট ওই ভেলায় চেপেই মুজনাই নদী পার হতে বাধ্য হচ্ছেন দু’পারের মানুষ। ছোট থার্মোকলের ভেলায় মালপত্র, অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন জীবন জীবিকার তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কোনরকম সুরক্ষা ছাড়াই পারাপার করেন এখানে। যে কোনও মুহূর্তেই দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকছে বলে আশঙ্কা অনেকেরই।অথচ স্বাধীনতার এতো বছর পরেও এলাকায় তৈরি করা সম্ভব হয়নি স্থায়ী সেতু।গ্রামের মানুষরা বিষয়টি নিয়ে যতটা হতাশ ও অসহায়, একই সুর শোনা গিয়েছে পঞ্চায়েত প্রশাসনের গলাতেও।তাঁরাও মানছেন যে, প্রতি বছর বর্ষা শেষ হতেই পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নদী পারাপারের অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়।আবার বর্ষা আসতেই তা ভেসে যায়।চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।