মহকুমা শাসকের উৎসাহে মাথাভাঙার শিক্ষকের চমকপ্রদ আবিস্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ মাথাভাঙ্গার রসায়ন শিক্ষক মনোজ দে লবন, জল, পেন্সিল, ব্যাটারী দিয়ে তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড তৈরি করে চমক লাগিয়ে দিলেন। খুব কম খরচে এবং সহজ উপায়ে এটি প্রস্তুত করা যাবে বলে জানান তিনি। তিনি ক্যুক্তিকাটা ধরণীকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষক।

তিনি জানান, মাথাভাঙ্গার মহকুমা শাসক জিতিন যাদব এর অনুপ্রেরনায় এই সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড তৈরি করার উপর তিনি জোর দিয়েছিলেন। বর্তমানে কোচবিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ির চারপাশ, ঘরের দরজা , জানালা আসবাবপত্র স্যানিটাইজ করার সহজ উপায় খুঁজতে এই পন্থা অবলম্বন। যে কেও বাড়িতেই এই সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড তৈরি করতে পারবেন বলে জানান তিনি। বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড তৈরি করে এলাকা স্যানিটাইজ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে তিনি তাদের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান ওই শিক্ষক ।

সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড কিভাবে তৈরি করতে হবে এ প্রশ্নে তিনি জানান, এক গ্লাস জল এর সাথে ৩০ শতাংশের উপরে অর্থাৎ মিশ্রণটা যেন ঘন হয় সেইরকম পরিমাণ লবণ মিশ্রণ করতে হবে। এরপর দুটি পেন্সিলএর দু দিকে চেছে নিতে হবে। পেন্সিল যত মোটা হবে ততো ভাল। গ্লাসের মধ্যে দুটি পেন্সিল দুদিকে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে হবে। দুটি পেন্সিলের দুটি মাথায় তার দিয়ে যুক্ত করে একটি নাইন ভোল্ট এর ব্যাটারি দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ করতে হবে। এই তড়িৎ প্রবাহ 30 মিনিট ধরে করতে হবে। এরপর দেখা যাবে সেই মিশ্রণটি থেকে কিছু বুদবুদ উৎপন্ন হচ্ছে অর্থাৎ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড তৈরি হচ্ছে এবং মিশ্রণ থেকে ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ বের হতে থাকবে। সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড প্রস্তুত করার পর ওয়ান ইস্টু নাইন অর্থাৎ এক এম এল সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড এর সাথে নাইন এম এল জল মিশ্রণ করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বাড়ির চারপাশ। এরকম কম খরচে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড তৈরিতে মাথাভাঙ্গাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।