নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি, ৬ সেপ্টেম্বরঃ করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শিলিগুড়িতে বিভিন্ন সময়ে রোগী পরিবহনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেনীর অসাধু এম্ব্যুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি শহরে রোগী পরিবহনে এম্বুলেন্সের ভাড়া বেঁধে দিল মোটর ভেহিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। রবিবার এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সচিব।
নির্দেশিকায় বলা আছে, শিলিগুড়ি পুর এলাকায় ২২ কিলোমিটারের মধ্যে রোগী পরিবহনে ওমনি ভ্যানের ভাড়া হবে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, আর সুমো বা বলেরো এম্ব্যুলেন্সের ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ৭০০ টাকা। শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকার ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে রোগী পরিবহনে ওমনি ভ্যানের ভাড়া হবে ১৬০০ টাকা, আর সুমো বা বলেরো এম্ব্যুলেন্সের ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রোগী পরিবহনে যেকোন ধরণের এম্ব্যুলেন্সের ক্ষেত্রে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ টাকা। শিলিগুড়ি মহকুমার বাইরে রোগী পরিবহনের ক্ষেত্রে ওমনি ভ্যানের জন্য ২২ টাকা প্রতি কিলোমিটার, সুমো বা বলেরো গাড়ির জন্য ভাড়া ২৫ টাকা প্রতি কিলোমিটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এম্ব্যুলেন্সের জন্য ভাড়া হবে ৩০ টাকা প্রতি কিলোমিটার।
তবে শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ি এলাকায় এম্ব্যুলেন্সে রোগী নিয়ে যাওয়া হলে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ভাড়া নিতে পারবেন এম্ব্যুলেন্স চালক। এছাড়া এম্বুলেন্সে রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা বৃদ্ধি হবে এবং শিলিগুড়ি মহকুমায় বা সংলগ্ন এলাকায় ৫ ঘন্টা পর্যন্ত এম্বুলেন্স আটকে রাখা হলে অতিরিক্ত ৩০০ টাকা চালককে দিতে হবে রোগীর পরিবারকে। করোনা আক্রান্ত সহ সব ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রেই একই ভাড়া নিতে বাধ্য থাকবে প্রত্যেক এম্ব্যুলেন্স চালক। সোমবার থেকেই শিলিগুড়ি শহরে কার্যকর হবে সরকার নির্ধারিত এম্ব্যুলেন্সের ভাড়া। পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুর ও মহকুমা এলাকায় এম্ব্যুলেন্সের এই ভাড়াই বলবত থাকবে।