নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়িঃটাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছে এবারের উচ্চমাধ্যমিকে ৪৪৪নম্বর পাওয়া এক ছাত্রীর। কলেজে ভর্তি হতে প্রয়োজন ১০হাজার টাকা, ছাত্রীর বাবা পেশায় কৃষক। এতো টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। জলপাইগুড়ি সেবাগ্রামের বাসিন্দাা লক্ষ্মী রায়ের শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।
জলপাইগুড়ি সেবাগ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক শিবু রায় ও আরতি রায়ের একমাত্র কন্যা লক্ষ্মী রায়। এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪৪৪ নম্বর ৮৮.৮% পেয়ে পাশ করেছে। লক্ষ্মীর ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল সে এক জন শিক্ষিকা হবে। ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় লক্ষ্মী। এবার তার উচ্চ শিক্ষার জন্য আপাতত প্রয়োজন ১০হাজার টাকা, সেই টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই পেশায় কৃষক বাবা শিবু রায়ের। তাই আর কলেজে ভর্তি হবেনা লক্ষ্মী। তার শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যাবে৷ লক্ষ্মীর বাড়িতে একটি মাত্র ঘর। এই ভাঙ্গা ঘরেই এতো দিন পড়াশোনা করে লক্ষ্মী শিক্ষিকা হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে বলে আশা করেছিল। সেই আশা মাত্র ১০হাজার টাকার জন্য পূরণ হলো না। এবারে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষায় লক্ষ্মীর মোট নম্বর ৪৪৪, বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৮৫, ভূগোলে ৯২, সংস্কৃতে ৯১, দর্শনে ৯১,ইতিহাসে ৮১ ।লক্ষ্মী জানিয়েছে, আগামী ১০তারিখ থেকে কলেজে ফর্ম ফিলাপ টাকার অভাবে সে কিভাবে করবে বুঝতে পারছেনা।ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গাতে দরবার করছে লক্ষ্মীর গৃহশিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়।