![20200309_121933_copy_600x639](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2020/03/20200309_121933_copy_600x639-600x381.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ লেখালেখি, অভিনয় এবং সাংবাদিকতার কারণে পাকাপাকিভাবে কলকাতাকেই নিজের আপন শহর করে নিয়েছেন সুমন সাধু। সুমনের লেখার মাধ্যম মূলত কবিতা। ‘বিশ্বাস নাও করতে পারেন’ এবং ‘গওহর জান’-এর পর আজকাল পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর তৃতীয় কবিতার বই ‘উড়তে চললাম কমরেড’।
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)
বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ‘উড়তে চললাম কমরেড’ বইটি ভালো সাড়া পেয়েছে। সুমন সাধু’র কাছে প্রত্যেকটা বই আসলে একেকটা জার্নি, জীবনের আলাদা আলাদা অধ্যায়। ২০১৮-১৯ সালের ব্যবধানে লেখা এই বইয়ের কবিতাগুলি। যেখানে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজে উঠে এসেছে চারপাশের কঠিন রাজনীতি। যার মূল স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে লিঙ্গ রাজনীতি। সুমন তাঁর ছোটোবেলার দিনগুলোয় ফিরে গিয়ে আরেকবার তা যাচাই করে দেখতে চেয়েছেন। উৎসর্গপত্রে সুমন লিখছেন, “বাবার বহু পুরনো রেকর্ড, হারিয়ে যাওয়া ভিস্তিওয়ালা, ঋত্বিক ঘটকে মা, উভকামী হাওয়া এবং যে কমরেডরা পাখি বলতে ঘরের অস্থিরতা বোঝে” – এখানে ব্যবহৃত সবগুলিই এই বইয়ের উপকরণ। সুমন সোচ্চার হয়ে নিজেকেই অবিরাম বলে চলেন, “জ্বর, তুমি আর দুপুরে এসো না”র মতো লাইন। সুমন বলেন, “এই বই মূলত লিঙ্গ রাজনীতি, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং নিজের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছে। আমাদের জীবনে এমন একটা সময় আসে, যেখানে ‘স্থিরতা’ খুব গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হয়ে দাঁড়ায়।” বইটির অসামান্য প্রচ্ছদ করেছেন বাংলাদেশের শিল্পী রাজীব দত্ত।