নাট্য চর্চার প্রসারে কাজ করে চলেছেন সাত্যকি

শিল্পী পালিত ঃআজ আত্মকথায় শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ার সাত্যকি চক্রবর্তীর সৃজন কাজ বা প্রতিভার কথা মেলে ধরা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিভার কথা এভাবেই মেলে ধরার চেষ্টা করছে খবরের ঘন্টা। আমাদের পত্রিকার সম্পাদক বাপিদাও চান এভাবে এই ওয়েবপোর্টালে নিয়মিত প্রতিভাবানদের কথা মেলে ধরা হোক।

আমার জন্ম উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরেl শৈশব, বাল্যকাল ও তরুণ সময় কাটে এক সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যেl শৈশব ও বাল্যকালে স্কুল, ওয়ার্ডের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে যেমন আবৃত্তি, নৃত্য ও মূকাভিনয়ে অংশগ্রহণ করি এবং পুরস্কৃত হই l আবৃত্তির প্রথাগত শিক্ষা বাল্যকালেই শ্রীযুক্ত অমিতাভ কাঞ্জিলাল মহাশয়ের সন্নিকটে l এর পরে ধীরে ধীরে কৈশোর ও তরুণ সময়ে নাটকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। এর মাঝে চলত আমার লেখালেখি, কখনো কবিতা, কখনো গল্প, কখনো বা নাটকl 2018এ সমাজকে নাটকের মাধ্যমে কিছু দেওয়ার জন্য পুনরুত্থাপন করলাম নান্দনিক নাট্যসংস্থা। বহু বছরের ব্যবধান কাটিয়ে আমার দেওয়া নাট্যরূপে মঞ্চস্থ হয় আবার ব্যোমকেশ নাটকটি যার পরিচালনায় ছিলেন স্বপন চক্রবর্তী। এরপর আমার উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে নান্দনিকের তরফ থেকে ও মৌতাতের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় নাট্য মেলবন্ধন উৎসব 2018, নান্দনিক প্রযোজিত মৃত্যুর চোখে জল নাটকে সহ -নির্দেশনার কাজ করিl স্বল্প দৈর্ঘের প্রাপ্তি চলচিত্রে সহকারী পরিচালনা করি lএছাড়াও দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচিত্র “সিদ্ধার্থ ” “বন্ধু বিদায় ” এ অভিনয় করি | এখন কলকাতা এমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রথম বর্ষের ছাত্র l
মূলত নাট্য প্রসার ও সুস্থ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখাই আমার লক্ষ্য l
সাত্যকি চক্রবর্তী
নান্দনিক, দেশবন্ধু পাড়া
শিলিগুড়ি