রাজ্য স্তরে প্রথম, সর্বভারতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতাতেও স্বর্ণ পদক শিলিগুড়ির তিতাসের

শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে মৌসুমি দাশগুপ্ত প্রতিভাবান শিল্পী তথা কিশোরী ছাত্রী তিতাস দাসের কথা লিখে পাঠিয়েছেন। তিতাসের সঙ্গীত প্রতিভার কথা শুনুন মৌসুমীদেবীর কলম থেকে।

আমি মৌসুমি দাসগুপ্ত, শিলিগুড়ি সৃষ্টি মিউজিক একাডেমির উজ্জ্বল নক্ষত্রদের মধ্যে আমার ছাত্রী ‘তিতাস’ এর কথা আজ বলবো। তিতাস দাস, বাবা পেশায় ডাক্তার, মা গৃহবধু। ৭ বছর বয়স থেকে আমার হাত ধরে ওর সঙ্গীত জগতে পথ চলা শুরু। এখন ও একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বিগত ৫ বছর শাসনে, আদরে, স্নেহে তালিম দিতে দিতে উপলব্ধি করি ওর গানের প্রতি অনুরাগ, ভালবাসা। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকেই হাতে ধরে শেখাবার চেষ্টা করি গোড়া থেকে। base তৈরীর সাথে সাথে বিভিন্ন রাগের ছোট খেয়াল,বিলম্বিত খেয়াল এবং তারই সাথে কিছু কিছু গানও শেখাতে থাকি। খুব সহজেই তা আত্মস্থ করতে থাকে তিতাস। বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় তিতাস খুব আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ও নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। পুরস্কারের ঝুলি ভর্তি হয়েছে, হচ্ছে। তিতাস শিশু কিশোর সাহিত‍্য একাডেমি থেকে ২০১৭ সালে রাগাশ্রয়ী গানে জেলা স্তরে তৃতীয় হয়ে রাজ‍্য স্তরে কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আমন্ত্রণ পায়। সেখানে বিচারকদের বিচারে ও প্রথম স্থান অধিকার করে। এরপর ২০১৮ সালে সর্বভারতীয় সঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক পেয়েছে। স্কুলের বিভিন্ন গানের প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া ছাড়াও অন্যান্য অনেক প্রতিযোগিতায় পদক প্রাপ্ত সে। ছোট থেকেই বিভিন্ন মঞ্চে বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছে তিতাস। নিয়ম করে সঙ্গীতের অনুশীলন, সঙ্গীতকে ভালোবাসা, গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা, সব মিলিয়ে সঙ্গীতকে পাথেয় করে এগিয়ে চলেছে ও। তিতাসের কথায় “আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার আমার গুরুমা”। ও অনেক অনেক উন্নতি করুক। যশ, সুনাম, খ্যাতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে তিতাস একদিন, সে আশা রাখি। তিতাসকে আগামীর পথে এগিয়ে যাবার কান্ডারী হয়ে থাকবো সবসময়৷