ভারতবর্ষের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, শিল্প আর শিল্পীর সেরা ঠিকানা রঘুরাজপুর

শিল্পী পালিত ঃ ওড়িশার রঘুরাজপুর গিয়েছিলেন হুগলী তারকেশ্বরের শ্রাবনী সামন্ত। ঘুরে এসে তিনি লিখেছেন–

গিয়েছিলাম ওড়িশি নৃত্যগুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্মস্থান #রঘুরাজপুর। উদ্দেশ্য ছিল ভার্গবীর তীরে অবস্থিত ৮০০ বছরের পুরনো হেরিটেজ গ্রামটির বিখ্যাত শিল্প “পটচিত্র” নিজের চোখে দেখা , জানা এবং এর সৃষ্টিশীলতাকে উপলব্ধি করা। প্রায় ১৪০ টি পরিবারের বাস এই গ্রামের সকলেই পটচিত্র শিল্পের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ।

ওড়িশার শিল্পগ্রাম রঘুরাজপুর এবং পিপিলি। অনেকের কাছেই অজানা নাম দুটি। পুরী থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে ওড়িশায় পটচিত্রের পীঠস্থান রঘুরাজপুর পৌঁছাতে হলে ২০৩ নং জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে চন্দনপুর বাজারে ঢুকে ভার্গবী নদীকে বাঁহাতে রেখে সামনে এগোলেই ভারতীয় সংস্কৃতির আঙিনায় আপনি স্বাগত…. ” Way to Heritage village Raghurajpur 1.5 Km‌ > “……হস্তশিল্পের স্বর্গ ….. নিজের চোখে শিল্পের উৎকর্ষতা না দেখলে বিশ্বাস হবার কথা নয়। অসাধারণ (খুব কম বলা হল) এই শিল্পকর্ম আজও প্রচারের আলোয় নেই! কোনোপ্রকার আর্থিক আনুকুল্য ছাড়াই পড়ে রয়েছে নীরবে সৃষ্টি সুখের আড়ালে ।

রাস্তার ডানদিকে নীল বোর্ডের ওপর সাদা রঙে লেখা রঘুরাজপুরের দিকনির্দেশ >> দেখে আমাদের গাড়ি ৩০ – ৪০ মিটার এগোতেই চোখে পড়তে লাগলো প্রতিটা বাড়ির দেওয়ালেই পৌরাণিক গল্পের কিছু না কিছু ছবি আঁকা এবং বাড়ির ভিতরে এক বা একাধিক শিল্পী পটচিত্র আঁকায় ব্যস্ত। প্রত্যেকটা পটে অসাধারণ দক্ষতায় আঁকা চলছে রামায়ণ-মহাভারতের গল্প, কোথাও শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনী, রাসলীলা, কোথাও দশাবতার (মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কী অবতার), এছাড়া মথুরা বিজয়, অযোধ্যা বিজয়, বিভিন্ন দেবদেবী যেমন কোথাও গণেশ, কোথাও দশভুজা মা দুর্গা….আরো কত কী….অজস্র!!

অবাক হলাম , গ্রামে গাড়ি ঢোকার পর থেকেই বাড়িগুলি থেকে কেউ না কেউ আব্দার করছে তার গৃহের পটচিত্রের কলাকৌশল দেখার জন্য…. যদি একটু প্রচার পায়!! যাই হোক এক পটচিত্র শিল্পীর সাদর অভ্যর্থনায় আমরা গেলাম তাঁর বাড়িতে । শিল্পীর নাম অভিমন্যু_বারিকি। বাড়িতে ঢুকে প্রথম ঘরটিতেই চমক!! বিচিত্র শিল্পসম্ভারে ভরা, শুধু তাই নয় , এটি ওয়ার্কশপ, পট গ্যালারী সবকিছু!! প্রায় বছর দশেক আগে একবার এই গ্রামে এসে তসর পটচিত্র সংগ্রহ করলেও শিল্পকে উপলব্ধি করার সুযোগ তখন ছিলোনা । এবারে এসেছি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখবো, জানবো আর মনের চোখে পটচিত্র শিল্পকে দীর্ঘদিনের সংরক্ষণে রাখবো বলে। অতি সাধারণ বাড়িতে যে অসাধারণ শিল্পকর্ম দেখলাম তাতে আমার বাকশক্তি রোহিত হবার জোগাড়!! বংশপরম্পরায় এ শিল্পের মর্যাদা রক্ষা করে চলেছে উত্তরাধিকারীরা।

শিল্পী অভিমণ্যু বলতে লাগলেন এই পটচিত্রের সামগ্রিক ইতিহাস। তাঁর ঠাকুর্দা, বাবা, মা , বোন এবং তাদের একান্নবর্তী পরিবারের কাকা, জ্যাঠা, ও তুতো ভাই বোনেরা প্রত্যেকে এই শিল্পে জড়িত। প্রতিটি পরিবার উত্তরাধিকার সূত্রে এই শিল্পকর্মকে বহন করে চলেছে , ঘর পিছু একাধিক শিল্পী , যাদের পেশা ও নেশা এই “পটচিত্র”। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙ, সূক্ষ্ম তুলি, লোহার পেন আর নিডল ব্যবহার করে শিল্পীরা পট আঁকেন।

পট্ট অর্থাৎ বস্ত্রের ওপর যে চিত্র, সেটাই পটচিত্র। তসর বা অন্য কেনো বিভিন্ন সাইজের ফালি কাপড়ের উপর চিত্র আঁকা হয়। চিত্রাঙ্কনের সমস্ত উপাদান এবং রঙ প্রকৃতিজাত (রাসায়নিক উপাদান সম্পূর্ণরূপে বর্জনীয়) । দু’টি বস্ত্রখণ্ডকে আটকানোর জন্য তেঁতুল বীজ গ্রাইণ্ডিং করে জল মিশিয়ে আঠা তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। এরপর জুড়ে যাওয়া সুতির কাপড়ের উপর খড়িমাটির পেস্ট লাগানো হয় যাতে সুতি কাপড়ের রঙ বোঝা না যায়। কিন্তু তার বালি কনাগুলোর জন্য উঁচু নীচু ভাব রয়েই যায় ।এরপর শক্ত স্যান্ডস্টোন দিয়ে ইস্ত্রি করার মত ঘষে ঘষে বস্ত্রখণ্ডের উপরিভাগকে মসৃণ করা হয়। ৪-৫ দিন লাগে আঁকার জন্য ক্যানভাস তৈরি করতে। যথেষ্ট পরিশ্রম লাগে শুধুমাত্র পটটিকে রেডি করতে। এর পর চাই অসীম ধৈর্য্য আর দক্ষতা!! ক্যানভাসটির চারদিক কেটে নিপুন হাতে তার উপর নানা চিত্রকলা ফুটিয়ে তোলা হয়। কী ধরণের চিত্র আঁকা হবে তার ওপর নির্ভর করছে সম্পূর্ণ শেষ হবার time duration….. কোনোটা একসপ্তাহ, কোনোটা একমাস আবার কোনোটা ছয়-সাত মাস। শুধু তাই নয় পটচিত্র আঁকার জন্য ব্যবহৃত হয় সুপুরি, ফেলে দেওয়া নারকেলমালা, লম্বা বোতল, অ্যালুমিনিয়ামের কলসী, কেটলি, ছোটো ডেকচি ইত্যাদি। বোতল ও বাসনগুলোর উপর কাপড় চিটিয়ে এবং তালপাতার সরু সরু ফালি সুতো দিয়ে জুড়ে পট তৈরি করে চিত্র আঁকা হয়।

পটচিত্রের জন্য ব্যবহৃত প্রাকৃতিক রঙের ব্যাপারে অভিমন্যু বললেন সাদা রঙ আসে শাঁখ গুঁড়ো থেকে, হলুদ রঙ হরিতাল পাথর থেকে, লাল রঙ হেঙ্গুর পাথর থেকে, গেরি মাটি থেকে কমলা, নীল বীজ থেকে নীল রঙ, গাছের পাতা থেকে সবুজ রঙ আর আদি অকৃত্রিম প্রদীপ শিখা থেকে কালো রঙ সংগ্রহ করে।

শিল্পী অভিমন্যু বারিকির কাছে রঘুরাজপুর গ্রামের সামগ্রিক ইতিহাস শুনতে গিয়ে জানলাম এই গ্রামের প্রায় ১৪০ টি পরিবারের রুটি-রুজি এই পটচিত্র শিল্প এবং বংশপরম্পরায় তা চলে আসছে । এই গ্রামের জন্ম আজ থেকে ৮০০ বছর আগে। তবে পটচিত্রের যাত্রা শুরু আরো অনেক আগে। পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরির সময় শিল্পীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খুশী হয়ে মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাজা নরসিংহ দেব এই রঘুরাজপুর গ্রামে তাদের পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন । প্রাথমিকভাবে ৪০ টি পরিবার থাকতে শুরু করে, ক্রমশ বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ১৪০ টি পরিবারের বসবাস।

যাইহোক চিত্রগল্পের মূল বিষয়বস্তু ভারতবর্ষের নানা পৌরাণিক গাথা, লোককথা। এছাড়াও প্রভু জগন্নাথদেবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর (রথযাত্রা, স্নানযাত্রা ইত্যাদি) প্রকাশ তো আছেই এই পটচিত্রে। এখানকার পটচিত্রের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, যেকোনো দেবদেবীর মুখগুলি ওড়িশি আদলে অঙ্কিত। আবার চিত্রের ক্যানভাসের জন্য কেবল সুতি নয় তসর কাপড়ও ব্যবহার হয়। তবে সুতির কাপড়ের ক্যানভাসের থেকে তসর কাপড়ের উপর পেন্টিং বাইরে নিয়ে যেতে সুবিধা অনেক। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা মূলত তসর কাপড়ের পটচিত্র সংগ্রহ করেন কারণ সুতির ক্যানভাস শক্ত হয় , ফোল্ডিং করলে পেন্টিং নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তসরের পটচিত্র অনায়াসে ফোল্ড করে বাইরে বিদেশে নিয়ে যাওয়া যায়। চিত্র নষ্ট হয়না, পটের পিছন দিকে হাল্কা গরম ইস্ত্রি টানলে তা আগের অবস্থায় এসে যায়।

অভিমন্যুর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু চার বছর বয়েসে তাঁর বাবা কালুচরণ বারিকির (State Handicraft Merit Awardee-1998) কাছে। দেখালেন drawing practice book….তাতে রয়েছে সমস্ত পশুপাখির প্রতিকৃতি ,যেগুলো পটে আঁকা হয়, তার শিক্ষণ পদ্ধতি! এক একটি ফিগারের expression যত বেশি হবে পটচিত্রের ভিতরের detailing তত ভালো হবে। তাদের একান্নবর্তী পরিবারের সকলেই এই পটচিত্র আঁকার কাজে যুক্ত । সকলেই মূল জগন্নাথ মন্দিরের চিত্রকর_সেবাইত।

জগন্নাথ মন্দিরের চিত্রকর সেবায় একটা পরম্পরা রয়েছে। প্রত্যেক মাসেই জগন্নাথ মন্দিরে উৎসব হয়। যত যাত্রী আসেন সকলে মন্দির গায়ের চিত্র স্পর্শ করে মাথায় ছোঁয়ান । ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিত্রের রঙ, উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়। তাই প্রত্যেক উৎসবের দিন পাঁচ-ছয় আগে চিত্রগুলি পুনরায় এঁকে দিতে হয়, এই কাজে এই গ্রামের শিল্পীরাই নিযুক্ত। রথযাত্রার সময় প্রতি বছর নতুন রথ তৈরি হয় । রথের সমস্ত কার্ভিং কমপ্লিট হলে শুরু হয় রথের গায়ে পটচিত্র আঁকা এবং মন্দির চত্বরের অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরগুলোতেও পট আঁকা শুরু হয়, এই কাজে ফিবছরই অভিমন্যু বারিকি নিযুক্ত থাকেন।

আমরা সকলেই জানি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দু’টি প্রধান উৎসব….রথযাত্রা এবং স্নানযাত্রা। এই দু’টি উৎসবেই রত্নবেদী (প্রভু জগন্নাথ দেবের মূল বেদী) খালি থাকে। রথযাত্রার দিন প্রভু জগন্নাথদেব সুভদ্রা আর বলভদ্রকে নিয়ে মাসীর বাড়ি (গুন্ডিচা বাড়ি) গেলে সাতদিনের জন্য রত্নবেদী খালি থাকে। আবার স্নানযাত্রার পর প্রভু জগন্নাথ দেবের জ্বর হয়। প্রভু ১৫ দিন কাউকে দর্শন দেননা। উনি চলে যান #অনসর_ঘরে(treatment house) । সেখানে তাঁর চিকিৎসার নাম “ফুলুরীর তেল সেবা” । এইসময় পটচিত্র আঁকার ভার দেওয়া হয় রঘুরাজপুরের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বয়স্ক শিল্পীদের উপর। এইসব দক্ষ চিত্রকররা পাঁচ ফুট বাই তিন ফুটের তিনটি পটচিত্র আঁকেন…. ভগবান জগন্নাথ রূপ, বলরামের অনন্ত বাসুদেবরূপ এবং মাতা সুভদ্রার ভুবনেশ্বরীরূপ !! এই তিনটি বড় সাইজের পটচিত্র রত্নসিংহাসনে রাখা হয় এবং জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহগুলির অনুপস্থিতিতে মূল বিগ্রহ হিসেবে পূজিত হয়। আসলে এইভাবেই পটচিত্র আঁকা শুরু।কথিত আছে এই পটচিত্রগুলি দর্শনেও দর্শনার্থীদের সমান পূণ্য অর্জন হয়। এই পটচিত্রের নাম “অনসর_পটী।”

এর পর আসি যাত্রী_পটী র কথায়। বহু বছর আগে যখন ক্যামেরা ছিলোনা , যাত্রীরা মন্দিরে এলে স্মৃতি হিসেবে সংগ্রহ করতেন প্রভু জগন্নাথের এক বিশেষ পটচিত্র। তার নাম #যাত্রী_পটী ,যা কিনা যাত্রীরা দেখেই নিয়ে নিত। তাই এমন নাম। তখন তো আর স্কেল, রবার, পেনসিলের ব্যবহার ছিলোনা, তাই ইঁদুরের মাথার চুল দিয়ে ব্রাশ বানিয়ে প্রদীপের কালি দিয়ে সরাসরি পট আঁকা হতো without sketch.
প্রত্যেক পটচিত্র শিল্পীই ন্যুনতম পারিশ্রমিকে মন্দিরের চিত্র আঁকেন। বিনা চাহিদায় প্রভু জগন্নাথ দেবের চরণে সেবা দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর ।

সত্তর- আশি বছর আগে শিল্পীরা পটচিত্র আঁকতেন স্কেল, কম্পাস ছাড়াই। ভেবে অবাক হলাম , নিখুঁত measurement করতেন কীভাবে!! সেইরকম একটি চিত্র দেখার ও কেনার সৌভাগ্য হলো আমাদের । সেটি অভিমন্যুর ঠাকুর্দার আঁকা সুতির ক্যানভাসে (without sketch) একটি পটচিত্র। অবাক হওয়ার বাকি ছিলো। এর পর দেখলাম অভিমন্যুর মা কমলাকান্তি বারিকির নিজহাতে আঁকা “আদিবাসী পটচিত্র”। পটটিতে ছোট্ট ছোট্ট মানুষের অবয়বই হোক আর জীবজন্তুর অবয়বই হোক কোনোটার মাপজোক বা একে অপরের সাথে দূরত্বের পরিমাপের বিষয়টায় এতটুকু ভ্রান্তি নেই। মৃদুভাষী সংসারী মহিলাটির প্রতি অনুভবে আমার মাথা নত হলো।

বৃষ্টির জলধারা যেমন মাটির উপর দিয়ে ডালপালার ভঙ্গিতে স্বাভাবিকভাবে গড়িয়ে চলে যায়, পটচিত্র শিল্পীদের পটরেখাগুলি যেন তুলির মুখ থেকে অতি সহজে বের হয়ে ছবির রূপ ধরেছে। প্রাকৃতিক রঙে ফুটে উঠছে স্বর্গীয় রূপমাধুর্য। তাইতো দ্বাদশ শতাব্দীর ওড়িশা পট আজও প্রাণবন্ত। রঘুরাজপুরের লোকশিল্পী চিত্রকররা Orisa Folk Paintings রীতি অনুসরণ করে আজও এঁকে যাচ্ছেন জগন্নাথ- বলভদ্র- সুভদ্রা পট, দশাবতার পট ও তাস (ওড়িশা থেকেই একদিন এই তাসের রাজবৈভব এসেছিলো বাংলার মল্লভূমে), নানা পৌরাণিক কাহিনী ও লোককাহিনী !

পটচিত্র শিল্পী ভাই অভিমন্যু বারিকির বদান্যতায় আমাদের জানা হলো পটচিত্রের সামগ্রিক ইতিহাস, অনুভব করলাম হস্তশিল্পের অনন্য রূপমাধুর্য, নিজের চোখে দেখলাম তাল-নারকেলের ছায়ার মায়ায় কঠিনশ্রম আর চিত্রকলার চরম নৈপুণ্যতার অসাধারণ যুগলবন্দী!! এ যেন আমার বিরাট জয়। আর সত্যি আমার ইচ্ছে করছে এই বিজয় অর্জনের আনন্দদায়ক অনুভূতিকে প্রকাশ করতে ,ইতিহাস খ্যাত জুলিয়াস সিজারের সেই উক্তি দিয়ে…” Vini, Vidi, Vici” – এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।

চিত্রকর শিল্পীদের নৈপুণ্যতা দেখে কেন্দ্র সরকারের পর্যটন বিভাগ এই রঘুরাজপুরকে #HERITAGE_VILLAGE তকমা দিয়েছে। ইন্টাক (INTACH)…Indian National Trust of Art & Cultural Heritage…… 1998 সাল থেকে এই রঘুরাজপুরের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে এবং 2000 সালে গ্রামটি হেরিটেজ ভিলেজ আখ্যা পায়।
সবিশেষে বলি ভারতের ঐতিহ্যময় শিল্পকে জানতে, চিনতে হলে সময় সুযোগ করে সকলের গন্তব্য হোক ওড়িশার রঘুরাজপুর।

শ্রাবণী সামন্ত।
তারকেশ্বর,
হুগলী