সৌন্দর্য চর্চার পেশা থেকে আয়ের একটি অংশ সামাজিক কাজে ব্যয় করছেন মধুমিতা

মধুমিতা ঘোষঃনমস্কার। খবরের ঘন্টার ওয়েবনিউজ পোর্টালের সব পাঠককে আমি স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। এই করোনা আবহে স্বাধীনতা দিবসের আগে আমি দু-একটি কথা বলতে চাই।

প্রথমেই বলি, করোনার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি আমার রোজগারের একটি অংশ ব্যয় করছি সামাজিক কাজে। শিলিগুড়ি ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের সেবামূলক কাজে প্রতি মাসেই কিছু সহায়তা করছি। ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনও কিছু সামাজিক কাজ করবো।

শিলিগুড়ি লেকটাউনের শ্রী মা সরনিতে আমার মধুরিমা মেকআপ স্টুডিও এবং বিউটি সেলুনের পাশাপাশি নেল স্টুডিও রয়েছে। সিটি সেন্টারে রয়েছে নেল স্টুডিও কালারিস্টা। ২০০৩ সাল থেকে আমি বিউটি সেলুন, স্টুডিওর কাজ করছি লেকটাউনে।

এখন লেকটাউনের এই মেকআপ স্টুডিও, বিউটি সেলুন দুপুর বারোটায় খুলছে। রাত আটটা পর্যন্ত তা খোলা থাকে। করোনা লকডাউনের আগে সকাল দশটাতেই কাজ শুরু হয়ে যেতো। এখন অনেক স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই মেক আপ স্টুডিও এবং বিউটি সেলুন চালাতে হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানিং, স্যানিটাইজিং সবই করতে হচ্ছে। স্যানিটাইজার মেশিন দিয়ে পুরো শরীর স্প্রে করে নিতে হচ্ছে। বিশেষ ধরনের ল্যাম্পের সাহায্যে সবসময় স্যানিটাইজেশন চলছে। মুখে মাস্ক, চুলে ক্যাপ ব্যবহার করতে হচ্ছে। হাত স্যানিটাইজেশনতো আছেই। যারাই সৌন্দর্য চর্চা করতে আসুক সকলকে মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি।

ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা অতিরিক্ত ফী ধার্য করিনি। তাতে আমাদের লাভের হার কিছুটা কমেছে। সুগার পেশেন্টদের জন্য বিশেষ থেরাপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে অনেক মানুষ তাদের সৌন্দর্য চর্চার বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন। তাতে আগে যত সহজে আমাদের একশ টাকা রোজগার করা সম্ভব হোত এখন পাঁচ টাকা রোজগার করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এখন ফেসিয়াল এর চাহিদাও কমেছে। তবে অনেকেই স্কীন নিয়ে সচেতন। তাঁরা পার্লারে আসছেন। এখন আবার এটাও ঠিক দূষন কমেছে। অনেকেই ঘরে আছেন। ফলে স্কীনও অনেকের ভালো হয়েছে। যদিও যিনি সুন্দর তিনি আরও সুন্দর হতে চান। সামনে পুজো। আমরা করোনা সচেতনতা মেনেই কাজ করবো। সবাই ভালো থাকুক, এটাই থাকলো প্রার্থনা।