![IMG-20200615-WA0047](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2020/06/IMG-20200615-WA0047-678x381.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়িঃ সংক্রমণের ভয়ে গ্রামে ঢুকতে বাধা।গ্রামের বাইরে জংলি হাতির উপর নজর রাখার নজর মিনারই এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার আন্দামান ফেরত যুবকের।
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিভিটা গ্রাম। গ্রামের পাশে বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল।গ্রামে হাতির আসা যাওয়া নিত্য দিনের ঘটনা।হাতির উপর নজর রাখতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে নজর মিনার বানিয়েছে বন দফতর। হাতির গতিবিধির উপর গোয়েন্দাগিরি করা সেই টংঘরই এখন ঠিকানা আন্দামান ফেরত মালিভিটার যুবক অমর বাহাদুর রাইয়ের।
দশ মাস আগে হোটেলে কাজ নিয়ে আন্দামানে যান মালিভিটার যুবক অমর বাহাদুর রাই।এপ্রিল মাসে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও লকডাউনে হোটেলেই আটকে পড়েন তিনি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে ঘরে ফেরা।কিন্তু ঘরের কাছে এলেও ঘরে ঢুকতে পারেন নি অমর। স্থানীয় হাসপাতাল হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা লিখে দিলেও গ্রামবাসীদের আপত্তিতে গ্রামের বাইরে টংঘরে জায়গা হয় অমরের।
অমর বাহাদুর জানান, ছোটবেলা থেকে হাতি দেখেই বড় হওয়া।তাই ভয় নয়,হাতির প্রতি আলাদা ভালোবাসা কাজ করে ছোট বেলা থেকে। তাই ঘরের কাছে এসেও গ্রামের লোক টংঘরে থাকার কথা বলায় আপত্তি করেননি অমর।জানান,পরিবারের লোকজন পৌঁছে দিচ্ছে খাবার।রাতে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য দেওয়া আছে সার্চ লাইট।বন কর্মীরাও মাঝেমধ্যে এসে খবর নিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তার। বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দও জানান, খবর পেয়ে নিজে গিয়েও খোঁজ খবর নিয়ে এসেছেন। রাতে যেহেতু এলাকায় বুনো হাতি ঘোরাফেরা করে, তার জন্য বন্য কর্মীদের রাতে ওই টংঘর এলাকায় টহল দিতে বলে দিয়েছেন তিনি।