![IMG-20200615-WA0038](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2020/06/IMG-20200615-WA0038.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃবৃষ্টির মরসুমে এবার জঙ্গল পর্যটনে নয়া কনসেপ্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ‘বর্ষায় ডুয়ার্স’।ফিবছর বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময় ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জাতীয় উদ্যানগুলি।ফলে ওই প্রথা মেনে তিন মাসের জন্য তালা পড়তো ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়।কিন্তু করোনার কারনে মার্চের পর থেকে ভরা পর্যটনের মরসুমে মার খেয়েছে স্থানীয় পর্যটন।স্বাভাবিককারনেই ওই মারাত্মক লোকসানের হাত থেকে খানিকটা বাঁচতে এবার ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখানকার চিরাচরিত সংরক্ষিত জঙ্গলগুলোর বাইরে বর্ষায় নতুন পর্যটনের প্যাকেজ নিয়ে বাজার ধরতে চাইছেন।
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)
ওই নতুন প্যাকেজে জলদাপাড়া লাগোয়া দক্ষিণখয়েরবাড়ি,পোরো,নিমাতি,মেন্দাবাড়ি,চিলাপাতা,টোটোপাড়া,ফুন্টসোলিং, জয়ন্তী,বক্সা পাহাড়, লেপচাখা ও গাঙ্গুটিয়ার মত পটে আঁকা এলাকার সবুজের হাতছানি রয়েছে।এর বাইরে বর্ষার রিমঝিম ধারায় এন্তার ডুয়ার্স কোন ছন্দে রূপ বদলায় তা ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।তাতে উপরি পাওনা হিসেবে বন্যপ্রাণীদের সাথে দেখা হতেই পারে।সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই চালু হচ্ছে ‘বর্ষায় ডুয়ার্স’ এর সফর।অন্যদিকে সোমবার ডুয়ার্সের চিলাপাতায় করোনার আবহে ডুয়ার্সের পর্যটনের বিকাশ নিয়ে পূর্ব ঘোষিত ‘জনতার দরবারে’ বিষয়ক প্রথম সভায় হাজির হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সদর্থক পরিবেশে দীর্ঘ আলোচনা হয়।আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে জানিয়েছেন “সরকারি নিয়ম মেনে ও উপযুক্ত সুরক্ষার মধ্য দিয়ে যদি এই চরম সংকটের সময় পর্যটনের বিকাশ ঘটে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।বরং ‘বর্ষায় ডুয়ার্স’ নামের যে ট্যুরিজম নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে, তাতে এই সময়ে বিকল্প অর্থনৈতিক ভিত তৈরি হবে।” ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বিশ্বজিত সাহা জানিয়েছেন “পর্যটনের চিরাচরিত ধারায় চলতে থাকলে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা আর পাল্লা দিয়ে উঠতে পারবো না।তাই একেবারে নতুন ধারায় ‘বর্ষায় ডুয়ার্স’ ভ্রমনের কনসেপ্ট নিয়ে জুলাই মাস থেকে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”