![IMG-20200209-WA0033_copy_640x427](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2020/02/IMG-20200209-WA0033_copy_640x427-640x381.jpg)
শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথা বিভাগে শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা চ্যাটার্জীর কথা মেলে ধরা হচ্ছে —
![](https://www.khabarerghanta.in/wp-content/uploads/2019/05/green-tea.jpg)
গান নিয়ে ভাবনাচিন্তা প্রথম বাবাই নিয়ে এসেছিলেন। যখন পাঁচ বছর বয়স তখন থেকেই ছাত্র যুব উৎসবগুলোতে নাম দিতাম। আর প্রথমও হতাম। আমার জন্ম ইসলামপুর, ওখান থেকে বাবা আমাকে শিশুমহলে গান করাতে নিয়ে আসতেন শিলিগুড়ির আকাশবাণীতে।১৯৯০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করে তিন জায়গায় গেলাম। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্ম তুললাম। ..সব কপাল. শিলিগুড়ি হোস্টেল। এক বছর পরেই ভাড়া থাকলাম মা ভাইয়ের সাথে। কুমকুমদি, গোপালকাকু, মিন্টুদা সবার কাছেই রবীন্দ্রসঙ্গীত তালিম নিলাম। যুববানীতে নির্বাচিত হয়ে গান করতাম। ১২ ক্লাসের পর চাকরি পড়া একসাথে। কম্পিউটার বিসিএ করলাম। আকাশবাণীতে ক্যাজুয়াল কমপেয়ার কাজ করতাম। যে ফ্ল্যাট বাবা কিনলো সেখানের মালিক ছেলেকে পছন্দ করে বিয়ে করলাম। এতে আমার কিছুটা স্বার্থ ছিল। বাবা মা র সাথে উপরে নিচে থাকতে পারবো। বিয়ের পরে ব্যবসায়িক কাজে জড়িয়ে পড়াতে আকাশবাণীর কাজটা ছাড়তে হল।পূবালীদি আসতো। গান শিখলাম.রবীন্দ্র কর্মশালাতে চর্চা শুরু হল।ডাঃ শৈলেন দাস, পরে স্বাগতালক্ষ্মী দিদি আমাকে রবীন্দ্র অনুরাগী শিল্পীর মন তৈরি করলেন। তাদের তালিমে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আমার জীবনে পুরোপুরি চলে এলো। বাবা মা দুজনেই আমার গান শুনতে ভালোবাসতেন। কলকাতায় অনুষ্ঠান, সিটিভিএন, তারা টিভিতে গান করতে শুরু করলাম। ১০টা সিডি অ্যালবাম কলকাতা থেকে বের হল। চার বছর হল সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদে অনুমোদিত হল আমার গানের স্কুল।স্টুডেন্টদের তালিম দিতে শুরু করলাম। ১৯৭৯ থেকে বঙ্গীয় সঙ্গীত পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছিলাম। আজকে বেশিরভাগ বোর্ড থেকেই রত্ন পাওয়া.. মানে 8th year complete..।
দুবার কলকাতা থেকে সিলভার ব্রোঞ্জ পেলাম। রাজ্য সঙ্গীত একাডেমি থেকে প্রথম, জেলাতে প্রথম হয়েছিলাম.সাতশোর উপরে রবীন্দ্রসংগীত জানা। সব রকম গান ই গাই।আমার ভালোবাসা মা বাবা মেয়ে. বাবা মা একসাথে দুজনেই নেই..
এটা আমার সঙ্গীত জীবনে বিরাট ক্ষতি।আদৌ আর গাইতে পারবো কিনা না জানি না। এবছরও সিলভার ব্রোঞ্জ পাচ্ছি।
দুই বছর হল একটি ছেলে যার নাম প্রিয়াংশুকে পড়াচ্ছি। দুটোঅসহায় পরিবারকে কাজ দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছি..মৈত্রেয়ীদেবী যিনি রবিঠাকুরের প্রিয় শিষ্যা তাকে সাক্ষ্যতে দেখা, একসাথে গান করা একটা medelও পেয়েছিলাম. তখন আমার বয়স ১০ ।এটি কলকাতা বিড়লা প্লাটেরেনিয়ামে।