করোনা আবহে পুষ্টিগুনের কথা শুনিয়ে মালদার চাঁচলে নারকেলের শাঁস বিক্রি করছেন সাজিরুদ্দিন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ করোনা আবহে শাঁসযুক্ত নারকেলের বিক্রি রমরমা মালদহের চাঁচলে। করোনা আবহে নারকেলের শাঁসের পুষ্টিগুনের কথা মাথায় রেখে চলছে অত‍্যাধিক বিক্রি। চাঁচল ১ নম্বর ব্লক এলাকার মতিহারপুর জিপির ডাব বিক্রেতা সাজিরুদ্দিন জানান, ১৬ বছর ধরে ডাব বিক্রির পেশায় যুক্ত। তবে যতদিন ধরে করোনার সূত্রপাত ততদিন থেকে বেশী বিক্রি হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ২০০ টি শাঁসযুক্ত নারকেল বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। গ্রাহকদের সুবিধার্থে দা দিয়ে ফাটিয়ে খোসা উপড়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে শাঁস। এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না অনেকেই। সাজিরুদ্দিন জানান, একটি নারকেল ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। রোজ ৫০০ টাকা উপার্জন হচ্ছে তার।

কখনও চাঁচল হাসপাতাল,দিশারী, নির্নয় বেশীরভাগ সময়টা চিকিৎসার স্থানে কাটান তিনি। তবে এদিন রবিবার শহরে মানুষ না থাকায় ভ‍্যান নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন গ্রাম-গঞ্জের উদ‍‍্যেশ‍্যে। তিনি বলেন, ডাবের শাঁসের পুষ্টিগুন অনেক বেশী। পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ক‍্যালোরি ও ফ‍্যাট যুক্ত এই শাঁস।এছাড়াও ভিটামিন বি-৬,ভিটামিন সি তো রয়েছেই। আছে ক‍্যালসিয়াম ও আয়রন। স্বভাবতই পুষ্টিযুক্ত রয়েছে নারিকেলের শাঁসে দাবী বিক্রেতা সাজিরুদ্দিনের। তিনি আরোও জানান, এই শাঁস খেলে হার্ট ভালো রাখে, দেহে শক্তি জোগায়, চুল ভালো রাখে। বিভিন্ন রকমের উপকারিতা রয়েছে এই নারিকেলের শাঁসে তাই খদ্দেরের অভাব হয়না বলে জানিয়েছেন তিনি।