করোনার মধ্যেই আর এক দুর্যোগ, ধেয়ে আসছে আমফান

সংবাদদাতা, হাওড়া :-এই মুহূর্তে চলছে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু।এই রাজ্যেও তার প্রভাব পড়েছে। এই সংক্রমণ রুখতে চলছে দু’মাস ধরে টানা লক গাউন।

কলকারখানা,অফিস ,বাজার, দোকান বন্ধ। মানুষের সঞ্চিত অর্থ নিঃশেষ। দিন আনা- দিন খাওয়া মানুষজন সংকটে।কেহ আধপেটা,কেহ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে । পরিস্থিতি যখন আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছিল, সেই মুহূর্তে আরও একটি দুর্যোগের ঘনঘটার করাল থাবা বসাল। এই মুহূর্তে “আমফান” প্রবলতর শক্তিবৃদ্ধি করে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ায় পুলিশ প্রশাসন কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। এবার আবারও ঘুম ছুটে গেল “আমফান” এর চোখরাঙানিতে।সমুদ্রউপকূলবর্তী এলাকাগুলির পাশাপাশি “আমফান ” ঘূর্ণিঝড় হাওড়া, হুগলী সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া জেলায় প্রাথমিকভাবে ৭০–৭৫ কি মি বেগে বইবে ঝড়।তারপর আস্তে আস্তে তার গতিবেগ পৌঁছে যাবে ১০০ কি মিএরও বেশিতে।এরই পাশাপাশি চলবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত।
হাওড়া জেলা প্রশাসন দূর্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকমভাবেই প্রস্তুত। জানা গেছে, হাওড়া জেলা সদরে “আমফান ” মোকাবিলায় হাওড়া পুরসভা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন বোরোয় বিশেষ কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা হয়েছে গ্যাসকাটার , পাম্পিং মেশিন, এর পাশাপাশি খাদ্যসামগ্ৰী। বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে বিপজ্জনক বাড়ি,হোডিং এবং বড় বড় গাছগুলির দিকে।
হাওড়া প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া পুরসভার পাশাপাশি হাওড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকের বি ডি ও , অফিসার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,কর্মাধক্ষ্য,সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান,সদস্য-সদস্যাদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রস্তুত রাখা হয়েছে WBSEDCL ,CESC, দমকল ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের।
ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সাথে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যথেষ্ট সিভিক ভলেন্টিয়ার, রাজ্য সিভিল ডিফেন্সের সদস্যদের। জানা গেছে, উলুবেড়িয়ায় জলের পাউচ প্রস্তুতকারক একটি মেশিনও মজুত করা হয়েছে। হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।