নিজস্ব সংবাদদাতাঃ করোনা বাড়ছে। তাই জলপাইগুড়িতে পুর এলাকায় লকডাউনের সময়সীমা আরও সাতদিন বাড়ল। জলপাইগুড়ির জেলা শাসক অভিষেক তেওয়ারি ওই ঘোষণা করেছেন৷ একইসঙ্গে এদিন পুর এলাকায় মাইকিংও হয়েছে।
রবিবার জলপাইগুড়ি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৬জন।গত তিনদিনে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৭ জন।করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম। বানারহাট থানার ৪জন পুলিশ কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সমস্ত এলাকা সেনিটাইজ ও কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। করোনার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলছে শহরে।রবিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন জায়গাতে পুরসভার পক্ষ থেকে সেনিটাইজ করা হয়। পাশাপাশি আক্রান্তের বাড়ির এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন করছে পুরসভার কর্মীরা।এদিকে লকডাউন নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ ও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা। লকডাউন মানছে না শহরের বাসিন্দারা। অন্যদিকে ক্রমেই বেড়ে চলছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন আরো কঠোর না হলে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে করোনা বলে মনে করছেন শহরের বাসিন্দারা।
এদিকে লকডাউনকে উপেক্ষা করে জলপাইগুড়ি শহরে বেগুনটারি মোড়ে প্রায় দু আড়াইশো দোকান বসেছিল। রবিবার কোতোয়ালি থানার আই সি বিপুল সিনহার নেতৃত্বে অভিযান চলে। এরপর ব্যবসায়ীদের তুলে দেয় পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে লকডাউন সকলকে মানতে হবে এই বিষয়ে সচেতনতামূলকভাবে মাইকিং করা হয়। মাস্ক ছাড়া বাসিন্দাদের মাস্ক তুলে দেন কোতয়ালি থানার আই সি।
লকডাউন ও সংক্রমণ রুখতে জলপাইগুড়ি দিন বাজার বন্ধ। কিন্তু আনাজ ও মাছ বাজার বসলো শহরের বেগুনটারি মোড়ে রাস্তার দু পাশে। রবিবার বাজারে উপচে পড়ল ভিড়। কোথাও মানা হচ্ছিল না স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ। এরপর আই সি বিপুল সিনহার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে অভিযান চলে৷ মাস্কবিহীন বাসিন্দাদের মাস্ক যেমন তুলে দিলেন তেমনি দ্রুত দোকান তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। অন্যদিকে বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া বাসিন্দাদের চিহ্নিতকরন শুরু করল পুলিশ।