বনের মধ্যে অবৈধ নির্মান ভেঙে দিলো বনদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ জঙ্গল ধ্বংস করতে করতে মানুষের কষ্টের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান কারন ব্যাপকহারে বনজঙ্গল ধ্বংস করা।আর উষ্ণায়ন বাড়তে থাকায় রোগব্যাধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু তারপরও হুঁশ নেই কিছু মানুষের। শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস ঘেঁষে মাত্র কয়েকবছর আগেও ছিলো ঘন জঙ্গল। এখন সেখানে জঙ্গল কেটে শুধু নির্মাণ আর নির্মাণ বাড়ছে।এভাবেই জঙ্গলের মধ্যে দুতলা বাড়ি তৈরি হয়েছে ।সবুজ বনানীর মধ্যে চারপাশে পশু পাখির আনাগোনা রয়েছে।আর সেই স্থানে রীতিমতো পাকা বাড়ি গজিয়ে ওঠায় আপত্তি তৈরি করেছিল বনদপ্তর। আর এভাবে বাড়ি তৈরি করা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও নিষেধ অমান্য করে একতলা থেকে দোতলা বাড়ি করে ফেলা হয়। প্রথমেই বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। পরে আবার তৈরি হয় বাড়িটি। শেষ পর্যন্ত সরকারিভাবে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু সেই নোটিশেরও অমান্য করা হয় । নির্মাণ ভাঙ্গা হয়নি। শেষমেষ বাধ্য হয়েই বন দপ্তরের পক্ষ থেকে শুক্রবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফারাবাড়ী নেপালি বস্তিতে হাজির হন বনকর্মীরা। শুক্রবার সকালেই বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের পক্ষ থেকে সেই অভিযান হয়। বনদপ্তরের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে ছিল পুলিশ। এরপর ওই অবৈধ নির্মাণ দোতলা বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনস্থল থেকে বাড়ির মালিক ধন বাহাদুর ছেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বনদপ্তরের বক্তব্য, জঙ্গলের মধ্যে এভাবে বাড়ি করা যায় না।অথচ রীতিমতো দোতলা পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তাই বাড়িটি আর্থ মুভার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বন দপ্তরের পক্ষে জানানো হয়েছে, আরও যেসব অবৈধ নির্মাণ আছে সেগুলোও ভেঙে দেওয়া হবে। এদিন বনদপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।