শিল্পী পালিত ঃ আজ আপনাদের সামনে ছোট্ট রাজশ্রীর প্রতিভার কথা মেলে ধরা হচ্ছে।লিখেছেন নন্দিনী রায় —
আমি নন্দিনী রায় আর রাজশ্রী সেন(তপা) আমার ভাইঝি। রাজশ্রী অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই বাবাকে হারায় সে। সবার মতন পড়াশোনা করেনা কিন্তু যেটুকু পড়ে মনে রাখে। পড়াশোনার সাথে সাথে ছোটবেলা থেকেই ওর মধ্যে আমরা কিছু প্রতিভা দেখতে পাই। ও যখন খুব ছোটো তখন আমাদের বাড়ি থেকে থার্মোকল নিয়ে ও ঘরবাড়ি বানাতো। কোনো খেলনা গাড়ি ভেঙ্গে গেলে, ওটার থেকে মোটর বের করে একবার fan বানিয়ে ফেলল , সুইচ বোর্ড করলো on off করা যেতো, আমাদের fan এর হাওয়াও খাইয়েছে। তারপর ধূপকাটির বাক্স দিয়ে আমাদেরকে পেনদানি বানিয়ে দিয়েছে।যে জিনিসগুলো ফেলে দিই, সেই ফেলে দেওয়া জিনিসগুলো দিয়ে ও সুন্দর সুন্দর জিনিস বানায় যেমন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানে ও খবরের কাগজ দিয়ে নৌকা, পুতুল, মোটরবাইক, গণেশ,ঘড়ি , কাগজের মালা ইত্যাদি বানাতে পারে। কাগজ দিয়ে সুন্দর সুন্দর ফুল বানাতে পারে। মুসুরির ডাল দিয়ে আলপনা করতে পারে। প্লাস্টিকের তার দিয়ে ব্যাগ বানাতে পারে। অবশ্য ওটা ওর মার কাছ থেকে শেখা। স্কুলের হাতের কাজ কিছু করতে দিলে সেটাও সে নিজে নিজেই করার চেষ্টা করতো এবং এগুলো করতে ভালোবাসতো। এগুলো নিয়ে থাকতেই খুব ভালোবাসে আমাদের তপা।টিভিতে রাজশ্রী যে জিনিস গুলো বানানো দেখে ,মোবাইলটা যদি নেয় হয়তো ইউটিউবে কিছু বানানো দেখলো তারপরেই সেগুলো বানানোর চেষ্টা করে। খুব ধৈর্য্য ধরে, যত্নসহকারে, খুব আনন্দে, এই জিনিস গুলো বানায় সে।এছাড়াও রাজশ্রী গিটার বাজাতে ভালোবাসে। কিছু কিছু শখের রান্না করতেও ভালোবাসে আমাদের ছোট্ট রাজশ্রী।