আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বহু পুরস্কার দীপা সরকারের

শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের খবরের ঘন্টার আত্মকথা বিভাগে শিলিগুড়ি ভক্তিনগরের দীপা সরকারের কথা মেলে ধরা হচ্ছে। সকলের কাছে আবেদন, আপনারা সবাই মিলে খবরের ঘন্টার এই ওয়েবপোর্টাল নিউজ, ফেসবুক পেজ এবং ইউ টিউব চ্যানেলের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন —

আমি খুব সাধারণ মেয়ে। জন্মেছিলাম বিহার রাজ্যের গয়া নামক এক শহরে। লোকে বলে, এক পুন্য ভূমিতে আমার জন্ম, তাই আমি খুব ভাগ্যবতী। তবে কথাটি কতটা ঠিক তা আমি জানি না।
বাবা ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। এছাড়াও ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী, আবৃত্তি শিল্পী। মা ছিলেন গৃহ বধূ। আমার জন্মের কিছুদিন পর পরম পিতার আশীর্বাদে বাবা উত্তরবঙ্গের এক ছোট্ট চা বাগানে চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন। কাজেই ছোট বেলাটা কেটেছে চা বাগানের সবুজ গালিচায়।
পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য শিলিগুড়িতে আসা। মাধ্যমিক, উচমাধ্যমিক, স্নাতক এর গন্ডি পেরিয়ে GNM training শেষ করে সরকারি চাকরির খাতায় নাম। আজও চলছি এভাবেই।
ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরে আবৃত্তি ও গান শেখা। আর মা ছিলেন আমার সব কাজের প্রেরণা। আমার জীবন পথে হেঁটে চলার প্রেরণা।
পরবর্তীতে ভালোবাসার জাগরণ হয় কবিতার প্রতি। শ্রদ্ধেয়া স্বাগতাদিদির কাছে আবৃত্তির পাঠ পূরণ। আমার জীবনে দিদির অবদান অনেক। তাঁর ভালোবাসা, প্রেরণা, আমাকে এক ধ্বংস স্তূপ থেকে বের করে এনে চলতে শিখিয়েছে। আমার ছোট মেয়ে ও আমি দুজনেই দিদির কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ।
আমার সংসার জীবন ও কর্মব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বেশ কিছু পুরস্কার ভরেছি ঝুলিতে। আজও আছি কবিতার জগতে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতির সদস্য পদ গ্রহণ এবং শিলিগুড়ির বাইরে আসানসোল, কলকাতা, ঝাড়খন্ড, দিল্লী এরকম বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করেছি।কর্ম সূত্রে এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়াতে আছি। কিন্তু কবিতার সাথে ছাড়াছাড়িটা হয়নি। কবিতার জন্য আজও ছুটে যাই সুযোগ সুবিধা মতো। এক কথায় বলতে গেলে কবিতা আমার ভালোবাসা। আর আছেন পরম পিতা, তিনিই ভরসা। আমার এই ভালোবাসা, এই প্রেরণা, এই ভরসা স্থল অক্ষত হয়ে থাকুক আমার জীবনে। পরম পিতার শ্রী চরণে এই আমার প্রার্থনা…
অবশেষে ধন্যবাদ জানাই আমার ভগিনীসমা বীণাপাণি শিল্পীকে আর ধন্যবাদ জানাই খবরের ঘন্টার কর্তৃপক্ষকে আমার এই সাধারণ জীবনের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরবার জন্য l
আমি দীপা সরকার।
শিলিগুড়ি, লেক টাউন, po. ভক্তি নগর।