নিজস্ব সংবাদদাতা ঃমুমূর্ষু এক রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রান বাঁচালেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ কর্মী শাহ আলম মোর্তাজা। লকডাউন পরিস্থিতিতে রক্তের তীব্র অভাব রয়েছে জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কে। এই পরিস্থিতিতে জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় কালিয়াগঞ্জের বাসন্দা মিঠু দেবশর্মার। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন রায়গঞ্জ থানার এই পুলিশ কর্মী। পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগে খুশী সাধারন মানুষ।
উল্লেখ্য কোভিড সংক্রমন ও লকডাউনের কারনে জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কে তীব্র রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে। নিয়মিত শিবির না হওয়ায় ব্লাডব্যাংকের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। রক্তের অভাবে জীবন সংকট দেখা দিচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের। এই পরিস্থিতিতে তিনদিন আগে অসহ্য পেটের যন্ত্রনা নিয়ে রায়গঞ্জের একটি নার্সিং হোমে ভর্তি হন কালিয়াগঞ্জের মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা মিঠু দেবশর্মা। শনিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ব্লাড ব্যাংক সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও ও পজিটিভ গ্রুপের রক্ত যোগাড় করতে পারেন নি মিঠু দেবীর আত্মীয়রা। এই খবর জানতে পেরে এগিয়ে আসে রায়গঞ্জ থানা। থানার পুলিশ কর্মী শাহ আলম মোর্তাজা জানান তিনিই রক্ত দেবেন। শেষপর্যন্ত এই পুলিশকর্মীর মানবিক উদ্যোগে জীবন ফিরে পেলেন মিঠু দেবী। পুলিশের এই ভূমিকায় আপ্লুত রোগীর পরিবার। পার্থ দেবশর্মা নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন,”পুলিশের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এক পুলিশকর্মী রক্ত দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।” অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার অনুপম সিং বলেন,” আমরা শুনতে পেরেছিলাম লকডাউনের কারনে ডোনারের ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রায়গঞ্জ থানার এক পুলিশকর্মীর একই ব্লাড গ্রুপ। শাহ আলম মুর্তাজা নামে ঐ পুলিশকর্মীই এদিন রক্ত দিয়েছেন।