
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শৈশব থেকেই তাঁর নেশা ছিল ফুটবল খেলার। বাইরে থেকে বিভিন্ন স্থানে তাঁকে খেলার জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হোত। ফরোয়ার্ডে খেলতেন তিনি। মাঝমাঠ থেকেও এমন এমন সব শট নিতেন যে বল সোজা গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে গোলের জয় বার্তা দিতো। সেই গোল করার জয় তাঁর মনে আরও শক্তি বাড়িয়ে দিতো,ইংরেজকেও এভাবেই হারাতে হবে। শরীর ও মনের যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের পরাজিত করতে হবে।তাই বিভিন্ন খেলার মাঠে খেলতে গিয়েও ইংরেজের বিরুদ্ধে গোপনে বিভিন্ন মানুষ বিশেষ করে যুবকদের সংগঠিত করতেন তিনি। পরাধীন ভারতে ইংরেজ হটাতে সেই যুদ্ধ আজ ৯৭ বছরে এসেও কিছু কিছু মনে করতে পারেন স্বাধীনতা সংগ্রামী টিকেন্দ্রজিৎ মুখার্জি। শিলিগুড়ি সারদা পল্লী এলাকায় তিনি এখন শারীরিক অসুস্থতার দরুন ঘর বন্দি। ১৯৪২ সালের ভারত ছাড় আন্দোলনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলার বাগেরহাট মহকুমায় তিনি এক জেলখানায় বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন।তবে এই বয়সে এসে তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলেমেয়েরা বেশি বেশি করে ফুটবল খেলুক।স্বামী বিবেকানন্দের বানী ” গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরও নিকটবর্তী হইবে”,এই বানী মেনে টিকেন্দ্রজিৎবাবু ছেলেমেয়েদের ফুটবলে লাথি মারার পরামর্শ দেন।ফুটবল খেলা নিজেদের মধ্যে টিম স্পিরিট বা দেশপ্রেমের ঐক্য তৈরি করতে পারে।ফুটবল খেললে শরীরে আলাদা শক্তি বা যুদ্ধের মানসিকতা তৈরি হয়।টিকেন্দ্রজিৎবাবুর পুত্রবধূ সুদীপ্তা মুখার্জি স্কুল শিক্ষিকা। সুদীপ্তাদেবীও তাঁর শ্বশুর মশাই তথা স্বাধীনতা সংগ্রামীর কথা মেনে ছেলেমেয়েদের ফুটবল খেলা সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার আবেদন জানান।
