শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে বেশ এগিয়ে চলেছে কিশোর প্রতিভা অগ্নিজ

শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথা বিভাগে সঙ্গীত শিক্ষিকা মৌসুমী দাশগুপ্ত লিখেছেন কিশোর প্রতিভা অগ্নিজের কথা। কীভাবে মৌসুমী দাশগুপ্তের তত্বাবধানে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে অগ্নিজ, তা জানতে পড়ুন —

আমি মৌসুমি দাসগুপ্ত, আজ আমার শিষ্য ‘অগ্নিজ দাস’ এর কথা বলব। অগ্নিজ এর বাবা একটি নামী বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মা গৃহবধু এবং একজন সঙ্গীত অনুরাগী ও শিল্পীও বটে। এক সময় কর্মসূত্রে কানপুরের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর কানপুরে কাটিয়ে বর্তমানে শিলিগুড়িতে। অগ্নিজের সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয় সেখানেই। শিলিগুড়িতে এসে আমার কাছে ৩ বছর হল শিক্ষা গ্রহণ করছে। সঙ্গীতের প্রতি ওর অসম্ভব ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তে আমি অনুভব করি। নিজের মত করে শুরু থেকে তালিম দিতে থাকি। খুব অল্প সময়ে ও নিজেকে অনেকটা তৈরী করে নিয়েছে। শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে ও বেশ সাবলীল। মাত্র ১৫ বছরের অগ্নিজ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। গুরু শিষ্যের বাঁধন আরও দৃঢ়
হয়ে উঠছে। এখানে এসে অনেক প্রতিযোগিতায় নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরেছে এবং প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই পদক প্রাপ্তি ঘটেছে। ২০১৭ সালে শিশু কিশোর একাডেমির জেলাস্তরে প্রতিযোগিতায় সফল হওয়ায় রাজ্যস্তরে কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আমন্ত্রণ পায়। ২০১৮ তে শিশু কিশোর একাডেমির জেলাস্তরে প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সঙ্গীতে দ্বিতীয় পুরস্কার পায় অগ্নিজ। ২০১৮ ওয়ার্ড উৎসবে অতুল প্রসাদী গান গেয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কার পাওয়া ছাড়াও অনেক অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেয়েছে ও পাচ্ছে। ওরা সবকিছুর জন্য সবসময়ই আমার উপর নির্ভরশীল। ওদের ভালোবাসা তা প্রমান করে দেয়। ক্লাস X এর ছাত্র অগ্নিজ একদিনের জন্য রেওয়াজ বন্ধ করে না। গান ও চালিয়ে যাবে, এমনটা ই ওর ইচ্ছে। অগ্নিজের মা রীনাও আমার ছাত্রী। বাবা, মা এর অনুপ্রেরণায় ও আরো অনেক অনেক দূর এগিয়ে যাক। আমি নিজের হাতে নিজের মত করে তৈরী করে চলেছি আমার প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী কে। ওদের সাফল্য যেন আমারই সাফল্য। অনেক বড় হোক অগ্নিজ। সাথে আছি প্রতিমুহূর্তে।।