নতুন নতুন গানের স্বরলিপি দেখে তা তোলাটাই ভালো লাগার জায়গা পারমিতাদেবীর

শিল্পী পালিতঃ আজকের আত্মকথায় শিলিগুড়ি ভক্তিনগর গেট বাজারের শিল্পী পারমিতা ঘোষের কথা মেলে ধরা হলো–

অনেক দিনের আমার যে গান— কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর আলিপুরদুয়ার শহরে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা | খুব ছোট বেলা থেকে নাচ ,গান , আবৃত্তির প্রতি খুব ঝোক ছিল; মনে পড়ে; “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা” এই গানটির সাথে নৃত্য পরিবেশন করেছিলাম! আমার প্রথম স্টেজ পারফরমেন্স | আমরা স্কুলে পড়াকালীন প্রচুর প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো——-রবীন্দ্র, নজরুল,সুকান্ত—নাচ, গান ,আবৃত্তি—সবেতেই অংশ নিতাম| পুরস্কারও পেতাম আর আগ্রহ বেড়ে যেত|

আমার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক | আমার আগ্রহ দেখে বাবারই একজন ছাত্র আমার প্রথম সঙ্গীত গুরু শ্রদ্ধেয় শ্রী ভাস্কর চৌধুরী মহাশয়ের কাছে গানের তালিম শুরু হয় | তখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী | কলকাতা দূরদর্শন ডি ডি বাংলা চ্যানেলে ছোটোদের অনুষ্ঠান “চিচিং ফাঁক” –এ দু-বার অনুষ্ঠান করেছি | শিলিগুড়ি আকাশবাণীতে “শিশুমহল” বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে বারো বছর পর্যন্ত নিয়মিত অনুষ্ঠান করেছি| মালদাতে HMV Golden contest—এ রবীন্দ্র,দ্বিজেন্দ্রগীতি দুটোতেই প্রথম স্থান পেয়েছিলাম |

যত বড়ো হতে লাগলাম রবি ঠাকুরের গানের প্রতি আসক্তি বেড়ে যেতে লাগল | প্রচুর রবীন্দ্র গান শুনতাম, এখানো শুনি | সুচিএা মিএ,কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস ওনাদের গান শুনতাম | আর নতুন নতুন গান স্বরলিপি দেখে তুলতাম | এটাই ছিল আমার ভালোলাগার জায়গা |

আমি মাস্টার্স করেছি। বিষয় ছিল “ভূগোল” | বিয়ের পরে স্বামীর চাকরি সূত্রে শিলিগুড়িতে এসে শ্রদ্ধেয়া কুমকুম মুখোপাধ্যায় আমাদের প্রিয় দিদির কাছে দীর্ঘ দশ বছর গানের তালিম নিয়েছি | শ্রদ্ধেয়া ডঃ পূবালী দেবনাথ মহাশয়ার কাছে প্রায় চার বছর ধরে তলিম চলছিল | কিন্তু এখন এই করোনা পরিস্থিতির জন্য ক্লাস বন্ধ আছে | শেখার তো শেষ নেই — আরো শেখার ইচ্ছে আছে জানিনা কতটা সম্ভব হবে |Fb -এর মাধ্যমে আমার গান শোনার পর শ্রোতাদের অভিনন্দন পেলেই মনে হয় আমার গান গাওয়া সার্থক |

সব শেষে অনেক ধন্যবাদ জানাই খবরের ঘন্টা এবং শিল্পী পালিতকে , যাদের ব্যবস্থাপনায় আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি |

পারমিতা ঘোষ | সেন্ট্রাল কলোনী | রেলওয়ে কোয়াটার ৭৬/A গেট বাজার , ভক্তিনগর, জলপাইগুড়ি |