নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ৩১ আগস্টঃ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাংকে শুরু হল করোনা জয়ীদের প্লাজমা প্রদানের কাজ। এদিন প্লাজমা ব্যাঙ্কে প্রথম প্লাজমা প্রদান করেন বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক করোনা জয়ী অনির্বাণ রায়। একই সাথে প্লাজমা প্রদান করেছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিবেশ ভৌমিকও প্লাজমা দান করেন এদিন। এছাড়া ওসি মানস দাস এবং মাধব ঘোষ দান করেছেন প্লাজমা।এই প্লাজমা দেওয়া হবে করোনা আক্রান্তদের দেহে।
অন্যদিকে সোমবার শিলিগুড়িতে ফের অনেকটাই বাড়লো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন মোট ৩৬ জন। রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ জন। সোমবার দার্জিলিং জেলায় নতুন করে মোট আক্রান্ত ৮০ জন। দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুর এলাকার ৩৩ টি ওয়ার্ডে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন, এবং জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুর সভার সংযোজিত এলাকার ১৪ টি ওয়ার্ডে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন মোট ১৯ জন।
এদিন শিলিগুড়ি মহকুমার নক্সালবাড়ি ব্লকে ১৩, খড়িবাড়ি ব্লকে ৫, ফাসিদেওয়ায় ব্লকে ৪, মাটিগাড়া ব্লকে ১৭, সুকনায় ৩, বিজনবাড়ি এলাকায় ১৫, সুখিয়া পোখরিতে ৩, দার্জিলিং পুর এলাকায় ১, কার্শিয়াং পুরসভা এলাকায় ১ এবং তাকদহে ৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমনের খবর মিলেছে। এদিন কালিম্পং জেলাতেও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন।
এদিন শিলিগুড়িতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। মৃত ২ ব্যাক্তি হলেন শিলিগুড়ির বিধান রোডের বাসিন্দা অমরেন্দ্র নাথ স্যান্যাল। দ্বিতীয় মৃত ব্যক্তি আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা শংকর মন্ডল। সোমবার দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন সরকার অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম এবং হোম আইসোলেশন থেকে মোট ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলাশাসক এস পন্নমবলম।
বিধান নগরের বাসিন্দা তথা সমাজসেবী শিবেশ ভৌমিক কদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন। এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রথম প্লাজমা দানের অনুষ্ঠানে প্লাজমা দানের পর শিবেশবাবু বলেন, বিধাননগরবাসী হিসাবে আমার গর্ব হচ্ছে। সকলের কাছে আমার আবেদন, করোনায় সুস্থ হওয়ার পর প্লাজমা দানে এগিয়ে আসুন। আপনার প্লাজমা দানের মহৎ কাজ অন্য করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করবে। আর সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসেন তবে দেশ ও সমাজ দ্রুত করোনা মুক্ত হয়ে উঠবে।