শিল্পী পালিত ঃ আজ আমাদের আত্মকথায় শিলিগুড়ি সুভাস পল্লীর মনিদীপা বসুর কথা মেলে ধরা হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে সঙ্গীতপ্রেম জাগিয়ে তোলার কাজে মগ্ন মনিদীপাদেবী –
আমি মনিদীপা বসু। বাবা মানস বসু রায় , মা স্নিগ্ধা বসু রায়। দাদা ও আমি – এই আমার পরিবার হলেও যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা। শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীতে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা।
সেই শৈশব থেকে সংস্কৃতি চর্চার সাথে জড়িত। ভাবিনি যে কোনোদিন এভাবে নিজের কথা প্রকাশ করার সুযোগ পাব। সেই সুযোগ করে দেবার জন্য খবরের ঘন্টাকে ধন্যবাদ।আজ সঙ্গীত নিয়ে মগ্ন থাকলেও শৈশব থেকে নিজেকে ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী হিসেবে তৈরি করার চেষ্টায় ব্রতী ছিলাম। কিন্তু শারীরিক কারণে সেই স্বপ্নে ছেদ ঘটে। গানের শুরু শৈশবে শ্রী গোবিন্দ গাঙ্গুলীর কাছে। কিন্তু গানকে প্রাণের সম্পদ করতে পারা প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ডঃ পূবালী দেবনাথ এর সান্নিধ্যে এসে। স্বরলিপির সাথে প্রাণের মাধুর্য মিশলে তবেই কোন গান পরিপূর্ণতা পায় – ওনার শিক্ষায় এটাই আমার উপলব্ধি। শেখার সুযোগ খুব অল্প পেয়েছি। কিন্তু অল্প হলেও ওনার রবীন্দ্রসঙ্গীত এর ভাবনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
বহুবছর পর স্বামী ও পুত্রের উৎসাহে আবার গানের জগতে ফেরা। আমার সবচেয়ে বড় শ্রোতা আমার পুত্র। 😊 শিলিগুড়িতেই এখনো পূবালীদির সান্নিধ্য পাওয়া আমার বিরাট প্রাপ্তি। ওনার শিক্ষার মর্যাদা কতটুকু করতে পেরেছি শ্রোতারা বিচার করবেন। তবে গানকে নিজের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জুড়ে নিতে পেরেছি। আনন্দে যেমন গান গাই ….তেমন মন খারাপের সময়েও তাকে সাথী করে নিতে পারি। গানের কথাকে নিজের কথা হিসেবে প্রকাশ করলে গানটি ভিন্ন মাত্রা পায়। তা সে যে আঙ্গিকের গান ই হোক্ না কেন – এই বিশ্বাস থেকে বর্তমানে রবীন্দ্রসঙ্গীত এর সাথে সাথে অল্প বিস্তর ভালোলাগার আধুনিক বাংলা গান গাওয়ার চেষ্টা করছি শ্রী সত্যজিৎ মুখার্জী র তত্বাবধানে। এছাড়াও কিছু শিশুর মধ্যে সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছি। সকলের ভালবাসায় সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে আমার সঙ্গীতচর্চা যাতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই কামনা রইল। ভালো থাকবেন ….. 😊😊
—উদীচী অ্যপার্টমেন্ট, হাতিমোর এর নিকট, বাবু পান ঘর এর উল্টোদিকে, সুভাষপল্লী, শিলিগুড়ি