নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়ি, ২ জুনঃ দেশের মোট ৫টি রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারী কোয়ারেনটাইন সেন্টারে থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষনা করেছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদফতর। বাড়ান হচ্ছে সরকারী কোয়ারেনটাইন সেন্টারের সংখ্যাও। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক এস পন্নমবলম।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো দার্জিলিং জেলায় করোনা মোকাবিলায় গঠন করা হয়েছে টাস্ক ফোর্স। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথম বৈঠক করলেন জেলাশাসক এস পন্নমবলম।
এদিন শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউজে আয়োজিত বৈঠকে দার্জিলিং জেলায় করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন জেলাশাসক। এদিন তিনি জানান, উত্তরের জেলা গুলিতে প্রতিদিনই যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ভিড় বাড়ছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতাল চ্যাং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বাড়ান হচ্ছে অতিরিক্ত কুড়িটি বেড। সব মিলিয়ে বেডের সংখ্যা হয়েছে ১২০টি। এছাড়া যেসব পরিযায়ী শ্রমিক গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লী ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আসছেন, তাদের বাধ্যতামূলক যেতে হবে সরকারী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ৭ দিন সরকারী কোয়ারানটাইন সেন্টারে ও পরবর্তী ৭ দিন বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে হোম কোয়ারেনটাইন সেন্টারে। এরজন্য দার্জিলিং জেলায় নতুন করে আরও ৭২ টি কোয়ারেনটাইন সেন্টার করা হবে। এরফলে জেলায় কোয়ারেনটাইন সেন্টারের সংখ্যা দাড়াল ৮৮। বর্তমানে দার্জিলিং জেলায় সরকারী কোয়ারেনটাইন সেন্টারে রয়েছে ২৫০০ জন। আর হোমকোয়ারেনটাইন সেন্টারে রয়েছে ৬২০৩ জন।
জেলাশাসক ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য, দার্জিলিং পুলিশ সুপার অমরনাথ, এসজেডিএ-এর সহসভাপতি নান্টু পাল, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ প্রমূখ।