নিজস্ব প্রতিবেদন, জলপাইগুড়ি, ২ জুনঃ করোনার জেরে পঞ্চম দফার লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। দীর্ঘ ৭২ দিন থেকে লকডাউনের কারণে বন্ধ সমস্ত বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জলপাইগুড়ি শহরের একদল শিক্ষক এগিয়ে এসে নিজেদের উদ্যোগে জলপাইগুড়ি শহরের ১নং ওয়ার্ডের পিছিয়ে পড়া এলাকায় গিয়ে শিশুদের জন্য গাছ তলায় শুরু করলেন একটি স্কুল। আপাতত সপ্তাহে একদিন করে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রীদের পড়াবেন এই শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।
লকডাউনে বন্ধ সমস্ত বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। সবথেকে ক্ষতি হচ্ছে জলপাইগুড়ি শহরের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন এলাকার শিশুদের। এই পিছিয়ে পড়া শিশুদের পঠনপাঠনে উদ্যোগ নিলেন এক দল সরকারি শিক্ষক। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১নং ওয়ার্ডে নিচমাঠ এলাকায় পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে স্থানীয় শিক্ষক স্বপন বসাক ও তার শিক্ষক সহকর্মীরা গাছতলায় সামাজিক দূরত্ব মেনে মঙ্গলবার থেকে শুরু করলেন অস্থায়ী বিদ্যালয়। প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত আপাতত সপ্তাহে এক দিন করে সমস্ত বিষয়ের শিক্ষাদান করবেন এই শিক্ষকরা।
দীর্ঘ প্রায় ৭২ দিন থেকে শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে না পারায়, শিশুদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শিশুদের পড়াশোনা শুরু হওয়ায় খুশি ছাত্র, ছাত্রী ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এসে, তাদের হাতে একটি করে সেনিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাবান দিয়ে হাতও ধোয়ানো হয়। মিড ডে মিলের খাওয়ার হিসেবে একটি করে বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হয় ছাত্র ছাত্রীদের।
শিক্ষক স্বপন বসাক বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী আবেদন করেছিলেন, সমস্ত শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকায় ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা করাতে। শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে কিছু শিক্ষককে নিয়ে তারা খোলা মাঠে ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। জেলার বাকি শিক্ষকদেরও নিজ নিজ এলাকায় পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।