শিল্পী পালিত ঃ মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার হেমন্ত কুমার ঘোষ ভালোবাসেন সঙ্গীত। তিনি তাঁর সঙ্গীত চর্চা নিয়ে এই ওয়েবপোর্টালের আত্মকথায় কলম ধরেছেন—
আমার আমি
হেমন্ত কুমার ঘোষ
গান হল সাধনা। এই সাধনার শুরু আছে শেষ নেই। গান আমার প্রাণ, গান আমার কাছে বন্ধন, মুক্তি, মোহ, প্রেম, বিরহ, উচ্ছাস, প্রীতি, সম্প্রীতি। গানই আমার বেঁচে থাকা।
আমি ছোটবেলা থেকে গানের আবহে বড় হয়েছি। আমার পরিবার গানময়। আমার পিতা বিজয় কৃষ্ণ ঘোষ স্বনামধন্য কীর্তন শিল্পী। আমার ছোট কাকা নিশিথ কুমার ঘোষ ও আমার পিসি দিদিরা গান গাইতেন। আমিও ওই পরিবেশে মানুষ। আমার বাবার প্রেরণায় প্রথম আমি সঙ্গীত জগতে পদার্পণ করি। আমার বাবার কাছে তালিম নিয়েছি, পরে অনেক স্বনামধন্য সঙ্গীতজ্ঞ গুরুজিদের কাছে তালিম নিয়েছি।আমার বাবার তালিমে বর্তমানে আমার ভ্রাতৃবধূ ফেন্সি ঘোষ স্বনামধন্য একজন কীর্তন শিল্পী।
আমার বাবার পর আমার প্রথম গুরু শচীন্দ্রনাথ মুখার্জি এরপর তরুণ ভট্টাচার্য, পার্থ আচার্য, অনুপ উপাধ্যায় ও স্বর্গীয় তপন অধিকারী মহাশয় এর কাছে তালিম নিয়েছি।পরবর্তীতে লোক সঙ্গীতের তালিম নিয়েছি মনসুর ফকির ও নাজমুল হক মহাশয়ের নিকট। এদের অনুপ্রেরণায় আমার পথ চলা।
মনের গভীরে উত্থিত হওয়া কথাগুলি পরিবেশনের সহজ উপায় হল গান। গানের মাধ্যমে দেশ, দশ ও জাতির সমস্ত কথায় বলা যায়।
2001 সাল থেকে আমি প্রতিষ্ঠা করেছি সংগীত শিক্ষা কেন্দ্র “শ্রুতিঅঙ্গন”।বর্তমানে এই শিক্ষা কেন্দ্রটি সুনামের সঙ্গে গুটিগুটি পায়ে বৃহৎ কলবরে পথ চলছে।
আমার সাধনার ফসল হিসাবে সারা বাংলার বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে সংবর্ধিত হয়েছি।যথা ক্যালকাটা ইউনাইটেড কালচারাল সোসাইটি, কান্দি ত্রিনয়নী সাহিত্য সংসদ, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকী মেমোরিয়াল কমিটি, বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী ও গবেষক শ্রী শুভেন্দু মাইতি ও তাপসী রায় চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় লোক সংগীত কর্মশালা অংশগ্রহণ করেছি।
জেলা তথাপি জেলার বাইরে বিভিন্ন কর্মশালা ও অনুষ্ঠানে সকলের আশীর্বাদে সংগীত পরিবেশন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।
সর্বশেষে আমার শ্রোতা বন্ধু ও আমাকে যারা বিভিন্নভাবে অনুপ্রেরণা দান করেছেন ও সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি রইলো আমার অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতায়।
হেমন্ত কুমার ঘোষ।
শ্রী হেমন্ত কুমার ঘোষ
গ্রাম +পোস্ট -আতাই
থানা – খড় গ্রাম
মহকুমা – কান্দি
জেলা – মুর্শিদাবাদ।
পিন নম্বর – ৭৪২১৫৯