করোনা দুর্যোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চান ফিল্ম-ট্যুরিজমের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ করোনা দুর্যোগের তীব্র প্রভাব ফেলছে দেশের শিল্প কারখানা, ব্যবসাবাণিজ্য সর্বোপরি অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পর কিহবে আগামী দিনে তা নিয়ে সকলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা নিয়ে আলোচনা করছেন। এরই মধ্যে যারা ফিল্ম ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করেন, যারা বিনোদন শিল্প নিয়ে রয়েছেন তাদের মাথাতেও হাত পড়েছে।

শিলিগুড়ি সূর্যসেন কলোনির মুভি ক্রাফট মিডিয়ার লাইন প্রডিউসার বাবলু ব্যানার্জী ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি ব্যানার্জীর মাথাতেও পড়েছে হাত। উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী, জঙ্গলকে কাজে লাগিয়ে বিগত কয়েকবছর ধরে তারা উত্তরবঙ্গের ফিল্ম ট্যুরিজম বিকাশে কাজ করছিলেন। টলিউড ও বলিউডের অনেক অভিনেতাঅভিনেত্রী, কলাকুশলী তাদের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গে এসে শ্যুটিংয়ের কাজ করছিলেন। আর এই শ্যুটিংয়ের জেরে পাহাড় থেকে সমতল বহু গাড়ির মালিক, গাড়ির চালক, হোটেল মালিক, হোটেল কর্মীসহ অন্য অনেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছিলেন। সবার এখন মাথায় হাত। কি হবে সিনেমা শিল্পের, কি হবে উত্তরবঙ্গের ফিল্ম ট্যুরিজমের। বাবলুবাবু উত্তরবঙ্গের ফিল্ম ট্যুরিজম বিকাশে বেশ লড়াই করছিলেন। তিনি বলছিলেন, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও আমাদের সহায়তা করছিলেন। এই ফিল্ম ট্যুরিজমের মাধ্যমে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছিলো। এখন সব মুখ থুবড়ে পড়েছে। করোনা দুর্যোগ কাটানোর পরও কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে ফিল্ম ট্যুরিজম শিল্প তা নিয়েও আমরা চিন্তিত। আর এখনতো বাবলুবাবুরা তাদের সহকর্মী, দিন আনা দিন খাওয়াদের ত্রান দিতে ব্যস্ত।কলকাতায় ফিল্ম ফেডারেশনকে কিছু অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন। এই দুর্যোগে বাবলুবাবুরা তাই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার প্যাকেজ চাইছেন। বাবলুবাবু জানিয়েছেন, আবার কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্যুটিং ছিলো এরমধ্যে। অর্পিতা চ্যাটার্জী, শ্বাশত চ্যাটার্জী, রিয়া সেন, রুপঙ্কর, ইমন চ্যাটার্জী, গৌরব চক্রবর্তীর মতো শিল্পীদের অভিনয় করার কথা ছিলো তাতে। সব এখন বাতিল। ওই সিনেমার ডিরেক্টর রাজর্ষী দে। কবে এসব শ্যুটিং হবে তা আর নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ঘুরে দাড়ানোর লড়াই ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু এখনতো করোনা সতর্কতা মানতে শ্যুটিং জমায়েত একদম করা যাবে না।