একেই বলে চেতনা, করোনা থেকে বাঁচাতে অন্যরকম তাঁবু জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে

নিজস্ব সংবাদদাতা,জলপাইগুড়িঃ নিজেদের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের করোনার মতো ভয়াবহ মহামারি থেকে রক্ষা করতে নিজেরাই ফাঁকা মাঠে তাঁবু করে থাকার সিদ্ধান্ত নিলো নেপাল থেকে জলপাইগুড়ি জমিদারপাড়াতে ফেরা পাঁচ শ্রমিক।প্লাস্টিক দিয়ে তাঁবু করে গত চার দিন ধরে জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর এলাকায় একটি ফাকা মাঠে রাত্রিযাপন করছে তারা। নিজেরাই রান্না করে খাওয়ার খাচ্ছেন নেপাল থেকে ফেরা এই পাচ শ্রমিক।

গত তিন মাস থেকে লকডাউনের কারনে নেপালে আটকে ছিল জলপাইগুড়ির জমিদারপাড়ার পাঁচ যুবক। এরা সবাই নেপালে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। গত সোমবার নেপালের বীরতা মোড় থেকে পাচ যুবক ভারতে নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য পায়ে হেটে রওনা দেয়। একটানা ১২ ঘন্টা হেটে পরের দিন তারা পৌছায় ভারতের শিলিগুড়ি শহরের বাগডোগরা এলাকায়। সেখান থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে পাচ যুবক আসেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতালে। সেখানেই তারা নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করান। চিকিৎসকরা এই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিককে হোম কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকার পরামর্শ দেন। তারপর তাদের বাড়ি জলপাইগুড়ির জমিদার পাড়ায় আসেন।এই পাচ যুবকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকার কারনে বাড়িতে অতিরিক্ত জায়গাও নেই। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় নিজেরাই এক জায়গায় কোয়ারান্টাইন করে থাকবেন। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিক জোগাড় করে বাড়ির পাশে পাহাড়পুরের জমিদার পাড়াতে একটি ফাকা মাঠে তাঁবু বানিয়ে কোয়ারেনটাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা কিছু কিছু খাওয়ার দিলেও নিজেরাও রান্না করে খাওয়ার খাচ্ছেন।নিজের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কথা ভেবে নিজেদের এই ভাবে কোয়ারান্টাইন থাকার সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।