কলমকে হাতিয়ার করে সুন্দরবনে আম্ফান বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উলুবেড়িয়ার যুবক

সংবাদদাতা,হাওড়া:এ পেন ক্যান চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড এই কথা বলেছিলেন মালালা ইউসুফজাই।মানব সভ্যতার অন্যতম অস্ত্রই হল ‘কলম’। কলম গর্জে উঠেছে প্রতিবাদে, কখনো ব্যক্ত করেছে প্রেমিকের হৃদয়ের সুপ্ত ভালোবাসাকে। আবার কখনও কলম ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছে। অসহায়, বুভুক্ষু,বিধ্বস্ত,বিপন্ন মানুষের কাছে-পাশে থাকার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলম।

সেই,’কলম’এর উপর ভরসা রেখে হাওড়া জেলার গ্ৰামীণ উলুবেড়িয়া থানার সিজবেড়িয়া গ্ৰামের বাসিন্দা ওয়াসিম সুন্দরবনের ‘আম্ফান ‘ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এলেন।

ওয়াসিম ছাত্র জীবন থেকেই ‘কলম’ ও’মনের ভাবনা’কে সঙ্গী করেছেন। সেই সঙ্গীদ্বয় ভালোবাসার প্রতিদানে ওয়াসিম-কে লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর সৃষ্টি শৈলী উলুবেড়িয়া মহকুমার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পত্র-পত্রিকায় তো বটেই, ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের পত্র-পত্রিকায় স্থান পেয়েছে,ও পাচ্ছে।তার গুনমুগ্ধ ভক্তরা তার থেকে প্রায়শই লেখা দেওয়ার জন্য আবদার করেন। তিনি বিনামূল্যে তার লেখা কবিতা,গল্প,লিরিক্স দিয়ে দেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতির অসহায়তার জন্য তার সৃষ্টি শৈলী আর বিনামূল্যে দিতে রাজি নন। তিনি কয়েক দিন আগে সোস্যাল-মিডিয়া র মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তার লেখা পাওয়ার জন্য নূন্যতম ১ (এক) টাকা দিতে হবে।তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার ভক্তরা এগিয়ে এসেছেন।মাত্র কয়েকদিনে ওয়াসিম কয়েক হাজার টাকা সংগ্রহ করেন।’কলম’এর মাধ্যমে সৃষ্টি শৈলীর জন্য উপার্জিত অর্থ সুন্দরবনের ‘আম্ফান’ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য তুলে দেন আমতা ১ নং ব্লকের উদং গ্ৰামের “স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ্” সংস্থার সদস্যদের হাতে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সদস্যরা এ সপ্তাহেই বিপুল পরিমাণ মুদিখানার সামগ্ৰী নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগর দ্বীপ ব্লকের প্রত্যন্ত দ্বীপে পৌঁছাবেন।

পেশায় ব্যবসায়ী ওয়াসিম বলেন,লকডাউনের প্রভাবে ব্যবসা বহুদিন বন্ধ। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি’আম্ফান’ বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে থাকার।সে কারণেই অর্থ
সংগ্ৰহের জন্য’কলম’ও’লেখা’কে সামনে রেখেছি।