মালদায় করোনা সংক্রমনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ করোনা সংক্রমনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা। মালদার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত সুজাপুর এলাকায় অবস্থিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সিংহভাগ কর্মী করোনা আক্রান্ত।তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসতে আপাতত ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক নির্দেশ মত।যদিও ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার মুখে পড়েছে গ্রাহকরা।

মালদা জেলা জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পার করেছে।স্বাস্থ্য বিভাগ,জেলা প্রশাসনের কর্তা, পুলিশ আধিকারিক, রেল বিভাগ সর্বত্রই সংক্রমনের অস্তিত্ব মিলেছে গত কয়েকদিনে।এমন অবস্থা উদ্বেগ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ইংরেজবাজার পুরাতন মালদা কালিয়াচক এই তিনটি থানা এলাকায় চলছে কড়া লকডাউন।তবুও অন্যান্য ব্লকের মতই কালিয়াচক জুড়ে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।নতুন করে কালিয়াচক ১ ব্লক এলাকায় শনিবার আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন।যার মধ্যে সুজাপুর স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া শাখার ৮ জন কর্মী রয়েছেন। এই ব্যাংকের শাখায় মোট ১৫ জন কর্মীর মধ্যে আগেই ম্যানেজার সহ পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন।নতুন করে ৮ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ ব্যাংকের শাখায় মোট ১৩ জন করোনা আক্রান্ত।স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসনিক নির্দেশিকা মত সংক্রমণ এড়াতে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই ব্যাংকের শাখা।স্বভাবতই সমস্যার মুখে পড়েছে ব্যাংকের গ্রাহকরা। কালিয়াচক ১ ব্লকের অন্তর্গত একাধিক অঞ্চলের মানুষের ব্যাংকের গ্রাহক রয়েছে।

অন্যদিকে কালিয়াচক থানায় আবারো নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই পুলিশ অফিসার সহ মোট তিনজন।পূর্বে থানার আইসি আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। স্বভাবতই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে থানার সমস্ত পুলিশকর্মীদের।

পাশাপাশি বৈষ্ণবনগর থানার তিন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। নতুন করে সংক্রমিতরা কোভিড হাসপাতাল বা হোম আইসোলেশন রয়েছেন। কালিয়াচক ১ ব্লক ভিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, শনিবার ১২ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তাদের মধ্যে সুজাপুর ব্যাংকের ৮ জন,কালিয়াচক থানার ৩ জন ও একজন সাধারণ মানুষ। সমস্ত দিকে প্রশাসনিক তৎপরতায় কাজ চালানো হচ্ছে। ব্যাংক আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। থানার আধিকারিকরা নিজ নিজ আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা জেলা জুড়ে বেড়ে চলায় চিন্তিত প্রশাসন।