বিয়েতে দুঃস্থ স্কুল ছাত্রীদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান শিলিগুড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক কাজ। শিলিগুড়ি লেকটাউন মাইকেল মধূসুধন রোডের মেয়ে সুহিতা নাথের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ছেলে প্রশান্ত মালব্যের বিয়ে হয় বুধবার রাতে। বৃহস্পতিবার এই বিয়েরই এক অঙ্গ হিসাবে সামাজিক কাজ করা হল ৩১ জন দুঃস্থ স্কুল ছাত্রীর হাতে পাঠ্য পুস্তক ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে। আর তা সকলেই দারুনভাবে তারিফ করতে শুরু করেছেন।

শিলিগুড়ি লেকটাউনের বাসিন্দা বলরাম নাথের কন্যা সুহিতার সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ছিপানের রোড গোয়াল নগরের বাসিন্দা শিবশঙ্কর মালব্যের পুত্র প্রশান্ত মালব্যের শুভ বিবাহ অনুষ্ঠান হয় বুধবার রাতে। তিনবাতি মোড়ে একটি ভবনে সেই অনুষ্ঠান হয়। বিয়ের নেমন্তন্ন পত্রে আগে থেকেই সকলকে বলে দেওয়া হয়েছিল কেও যেন নবদম্পতিকে আর্শীবাদ প্রদানের জন্য উপহার না নিয়ে যান। তবে কেও দুঃস্থ ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিলিগুড়ি ডাবগ্রাম ভিশন অফ টিচারকে কোনও সাহায্য করতে চাইলে করতে পারেন। সেই অনুযায়ী বহু আমন্ত্রিত অতিথি বিয়ের প্রীতিভোজে যোগ দিতে গিয়ে নবদম্পতিকে উপহার না দিয়ে ওই সংস্থাকে সাহায্য করেন। সেই সংস্থার মুখ্য কর্ণধার কনে সুহিতার বাবা বলরাম নাথ। বহু মানুষের সাহায্য, বলরামবাবুর উদ্যোগ এবং সর্বোপরি সংস্থার প্রয়াসে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনবাতি মোড়ের ওই ভবনে ব্যতিক্রমী সেই সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। মোট ৩১ জন ছাত্রীকে সেখানে পাঠ্য পুস্তক, স্কুল ব্যাগ, খাতাপ্রদান করা হয়। নবদম্পতিও এতে বেশ খুশি। অভাবী সেই সব ছাত্রীকে শিক্ষা সামগ্রী প্রদানের পর পেট পুরে খাইয়েও দেওয়া হয়। বলরামবাবু বলেন, তারা মূলত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অভাবী মেয়েদের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে আসছেন অনেক দিন ধরে। তবে এবার বিয়ে অনুষ্ঠানেও সেই কর্মসূচি পালন করা হলো।
আজকাল বিয়েতে হই হুল্লোড়, ডিজের তালে নাচ, পটকা ফাটানো, শোভাযাত্রার নামে রাস্তায় যানজট তৈরি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। সেই দিক থেকে সুহিতা ও প্রশান্তর এই অন্যরকম