মৃনাল পালঃ মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখ। শুভ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ শুরু। খুব দুর্যোগের মধ্যে এবার এলো পয়লা বৈশাখ। কারন করোনা ভাইরাস। দেশে লকডাউন চলছে। তবুও সকলকে আমাদের সচিত্র গ্রুপ অফ কোম্পানিজের তরফে শুভেচ্ছা।
মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে প্রথম পর্যায়ের একুশ দিনের লকডাউন। তারপর আবার লকডাউন। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। করোনার গ্রাস থেকে দেশকে বাঁচাতে লকডাউন ছাড়া আরও উপায়ও ছিলো না সরকারের কাছে। আমিও লকডাউন মেনে ঘরেই আছি।
আমাদের শিলিগুড়ি সেভক রোড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের সচিত্র গ্রুপ অফ কোম্পানিজের সব কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। তরাই ফাউন্ডারি ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড, সচিত্র রোলিং মিলস প্রাইভেট লিমিটেড, সচিত্র স্টীল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, চৌধুরী ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সচিত্র ফাউন্ড্রি এন্ড ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ, বসন্ত এগ্রিকো প্ল্যানটেশন প্রাইভেট লিমিটেড সব কারখানা বন্ধ। এছাড়া আমাদের পাল অটোমোবাইলস, এম এন্ড সি আয়রন স্টোর্স, ভিবজিওর এন্টারপ্রাইজ সেসবও বন্ধ।
জমায়েত থেকে করোনা ছড়াতে পারে। তাই লকডাউন সতর্কতা মেনে শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ। কোনও উৎপাদন নেই। রোজগার নেই। কিন্তু শ্রমিক কর্মচারিতো অনেক। কারখানা এখন বন্ধ থাকলেও দুর্যোগ কেটে গেলে আবার খুলবে। তাই শ্রমিক কর্মচারিদের এখন ছাঁটাই করা যাবে না। তাছাড়া এইসব শ্রমিক কর্মচারিদের পরিবার রয়েছে। তাই তাদের ত্রান, বেতন সবই দিতে হচ্ছে। তাদের প্রতি নজর রাখতে হচ্ছে। এই দুর্যোগে এদের প্রতি মানবিক কর্তব্য পালন করা বিশেষ জরুরি।
কিন্তু এরপর কি হবে। একদিকে করোনা ঠেকানো। অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। বিরাট সঙ্কটের মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্প, ছোট ব্যবসায়ী এবং অন্য সব শিল্প কারখানা। শিল্প কারখানা সব বন্ধ হয়ে গেলে বেকারের সংখ্যা হু হু করে বাড়বে। আর সেটা আরও বিপদ বা সঙ্কটের কারন হবে। তাই করোনা মোকাবিলার সঙ্গে আমাদের গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন শিল্প কারখানাগুলো সম্পর্কে। সরকারের কাছে প্রস্তাব থাকলো, ব্যাঙ্ক, সরকারি কর্তারা সকলে শিল্প কারখানা নিয়ে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক।
সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ঘরে থাকুন। করোনা ঠেকাতে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন। ( লেখক একজন শিল্পোদ্যোগী এবং খবরের ঘন্টার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য।)