দেবযানী সেন (কবিতা কবিতা) ঃএই সেই ফুলের রাজ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যার চর্চা চরমে। ক্ষেতের পর ক্ষেত, বিঘার পর বিঘা শুধু ফুল চাষ হচ্ছে। কাসাই বা কংসাবতী নদী তীরের পলি এই ফুল চাষের প্রাণ কেন্দ্র। আর এই দিনরাত পরিশ্রম করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো এক একটা হীরে।
ফুলের মতোই সহজ আর সরল, আমাদের ভাষায় হয়তো একটু বোকা কিন্তু না, তাঁরা বোকা নয়, এই সারল্য আর মানুষকে মানুষ ভাবার মতো সাধ্য এদের আছে।
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছি…..
২০১৯ এ ইউটিউব এ ভিডিও দেখে প্রথম ক্ষীরাই অভিযান করেছিলাম। অভিযান বা adventure ই বলাবাহুল্য , হাতে শুধু গুগল ম্যাপ আর মনে ইচ্ছা পূরণের সাধ।
হাওড়া থেকে ট্রেনে প্রায় তিন ঘন্টা সময়, তারপর ক্ষীরাই, ট্রেন থেকেই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ পরিলক্ষিত করা যায়।
দুদিকে শুধু ফুলের জলসায় যেন, চারিদিক সবুজের মাঝে কোথাও হলুদ হাসি কোথাও কমলা, কোথাও সাদা, লাল, বেগুনী
কি নেই, ঈশ্বর যেন স্বয়ং রং আর তুলি হাতে অবতীর্ণ হয়েছেন পৃথিবীতে।
নৈসর্গিক …….
নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
ফিরে আসি পুরনো কথায়,
অচেনা অজানা জায়গায় গিয়ে প্রচন্ড খিদে পেয়ে গেল, এবছর কিছু দোকান হয়েছে দেখলাম কিন্তু গতবছর কিছুই ছিল না। অভুক্ত তিনজন ছবি তুলবো কি, খিদের জ্বালায় মরছি, দেবদূতের মতো একজন এগিয়ে এলো, বললো এগুলো আমার ক্ষেত যতখুশি ছবি তুলুন ,ফুল ছিড়ুন কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আমরা তো ফুল ছিঁড়তে যাইনি। ক্ষীরাই এর টানে গেছি শুধুমাত্র।
এতো আপন করে নিল যে সোজা তাদের বাড়িতে, আজ আমরা আত্মীয়, ঠিক ধরেছেন, আত্মার সাথে যার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সেই আত্মীয়। ওরা আমাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে আসে, আমরাও যাই,
গতকালও ঘুরে এলাম আমার ভাইয়ের বাড়ি থেকে, সঙ্গে হৃদয় বন্দী অন্তরঙ্গ কিছু স্মৃতি আর ব্যাগ বন্দী সব্জি, ফুল, ফল, বড়ি, ফুল গাছ।
#স্মৃতির_পাতা_থেকে
দেবযানী সেন (কবিতা কবিতা)
( খবরের ঘন্টার সহসম্পাদিকা শিল্পী পালিতের সৌজন্যে সংগৃহীত ওপরের এই লেখাটি)