নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা আবহে এক দুর্যোগের মধ্যে পড়াশোনা করতে হয়েছে। করোনা আবহেই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। শিলিগুড়ি ডি পি এসের ছাত্রী অনন্যা মৈত্র পেয়েছে ৯৬.২ শতাংশ নম্বর। যেহেতু করোনা ভাইরাস এবার গোটা বিশ্বকে বেকায়দায় ফেলেছে তাই ভবিষ্যতে ডাক্তারি পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার স্বপ্ন দেখে অনন্যা।
শিলিগুড়ি বাবুপাড়ায় বাড়ি অনন্যার৷ ওর বাবা সুরজিৎ মৈত্র রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তরের একজন আধিকারিক। আর মা রাজশ্রী মৈত্র গৃহবধূ। রাজশ্রীদেবী বেশ সংস্কৃতি পরায়ন। ওমকার মিউজিক একাডেমির কর্নধার। বাবামা দুজনেই এই করোনা আবহে অনন্যাকে পড়াশোনার জন্য পুরো উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।
অনন্যার প্রাপ্ত নম্বর, ইংরেজি ৯৯, ফিজিক্যাল এডুকেশন ১০০, কেমেস্ট্রি ৯৫, বায়োলজি ৯৪, ফিজিক্স ৯৩। অনন্যা বলে, ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছে। আর এই করোনা আবহে সামনের সারিতে থেকে চিকিৎসকরা যেভাবে লড়াই করছেন তা দেখেই ওর আরও বেশি ইচ্ছে, ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার। তার পাশাপাশি অদৃশ্য করোনা ভাইরাস যেভাবে মানব সভ্যতাকে বিব্রত করে তুলেছে তার জন্য ওর ইচ্ছে, ভবিষ্যতে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার।পড়াশোনার পাশাপাশি অনন্যা নাচ গান করতে ভালোবাসে। ক্ল্যাসিক্যাল ডান্স, ক্রিয়েটিভ কিছু করতে ভালো লাগে অনন্যার। ও বলে, ক্রিয়েটিভ কাজ বহু ইতিবাচক ভাবনার জন্ম দেয়। আর ইতিবাচক ভাবনাও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে বাড়তি শক্তি দিতে পারে।