লেখালেখি করেই সময় কাটছে সাগরিকার

শিল্পী পালিত ঃঃ সকলকে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগাম শুভেচ্ছা। খবরেরঘন্টার দেশ প্রেম সংখ্যা চলে আসছে৷ আজ এই আত্মকথা বিভাগে সাগরিকা কর্মকারের কথা মেলে ধরা হলো। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা খবরের ঘন্টার ফেস বুক পেজে গিয়ে কম্যুনিটিতে যান। সেখান থেকে ইনভাইট ফ্রেন্ডে গিয়ে খবরের ঘন্টা পেজের সদস্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করুন—-

আত্মকথা বিভাগে আমি
সাগরিকা কর্মকার।
Address -Sagarika karmakar,
C/O Late Sudhir Kumar Karmakar,
Vill. Matigara,New colony,
P.O+P.S Matigara,
Dist.Darjeeling.
Pin. 734010
Phone. 959311669 W.B
আত্মকথা –
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই খবরের ঘন্টার প্রতি। অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পাদক মহাশয় ও সহ সম্পাদিকা শিল্পীদি’র প্রতি। শিল্পী দি’র আত্মকথা প্রচার বিভাগে, তাঁর উদ্যোগেই আজ আমি সাগরিকা কর্মকার, আমার আত্মকথা তুলে ধরছি আমার কলমে।
আত্মকথা হল ব্যক্তি জীবনের ডায়েরি, যা পাঠকের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।
জীবনের অনেক বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছি।এ যুগের নারী হয়েও অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। তবে জীবনের পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছি হয়তো আমার ঠাকুরের কৃপা ও আমার বাবা-মায়ের সৎ কর্মের ফল বলতে পারেন। শতবাধার মধ্যে দিয়ে নিজের লেখাপড়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি, হয়তো আমার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা। বাস্তবকে খুব কাছ থেকে দেখেছি,তাই বলছি, জীবনে প্রতিটি মেয়েকে নিজের পরিচয় তৈরী করা একান্ত প্রয়োজন।এককথায় নবজন্ম ঘটেছে আমার জীবনে, কিছু কথা থাক অন্তরের গভীরে, আর কিছু কথা পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম।
এবার আমার পরিবারের কথায় ও আমার জীবনের প্রথম অধ্যায়ের কথায় আসা যাক।
আমি আমার বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে।আমার বাবা স্বর্গীয় সুধীর কুমার কর্মকার Ministry Of defense ‘এ একজন সিনিয়র অডিটর পদে কর্মরত ছিলেন, মা মমতা কর্মকার একজন আদর্শ গৃহবধূ।
আমার চোখে আমার ‘মা’ একজন আদর্শ নারী।বাংলা সাহিত্যে আমার মা’র অনুরাগ রয়েছে।
আমার বাবা, মা আমাকে ছোটবেলায় প্রাচুর্যের মধ্যে বড়ো করেনি, আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই মানুষ করেছে।বাবা বলতেন ” বেশী প্রাচুর্য আগামী পথের বাধা, লেখাপড়ায় মন দাও, ইংরেজি চর্চা করো, প্রাচুর্য বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়, জীবনে সঞ্চয় করবে, বিপদে মানুষের পাশে থাকবে, অযথা অর্থ নষ্ট করবেনা।” বাবা বাস্তববাদী ছিলেন, জীবনের সত্যটা হয়তো জানতেন, আজ বুঝতে পারছি, বাবা’র কথা অনুযায়ী আগামীপথে চলব। আমার বাবা 2018 সনের 6 may আমাদের ছেড়ে চলে যান, না ফেরার দেশে।
আমার দাদু, দিদু ও মামা-মাসিরা আমাকে অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েছে জীবনে, আজও মামা-মাসিরা সবসময় আমার পাশে। আমার বাবা’র বদলির চাকরি ছিল, এই কারনেই নানান জায়গায় আমার শিক্ষাগ্রহণ, আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী।বর্তমানে বাংলা বিষয়েই স্কুলের চাকরির interview দিয়েছি, শুধু ফাইনাল প্যানেলের অপেক্ষায় আছি, আমার ঠাকুরের কৃপার ওপর নির্ভর করছে। ছোটবেলা থেকে বাবা- মা আমাকে সমস্তরকম শিক্ষা দিয়েছেন, নাচ, গান, লেখাপড়া।আমার গানের বিষয় রবীন্দ্র সঙ্গীত, আমার প্রথম গানের গুরু স্বর্গীয় স্বদেশ রায়। বাংলা সাহিত্যে আমার ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই, মায়ের কাছে বাংলা শিখেছি , অঙ্ক ও ইংরেজি বাবা আমাকে নিজেই পড়াতেন, বাবা ইংরেজি ও অঙ্কে খুব ভালো ছিলেন।
বাংলা বিষয়ের প্রতি ভালোবাসা ও অন্তরের ভালো লাগা লুকিয়ে আছে।বাংলা বিষয়কে একসময় খুব ভালোবেসে পড়েছিলাম, যদিও স্কুল সার্ভিসের জন্য তবুও বাংলাকে খুব কাছ থেকে জানা ও বাংলার প্রতিটি বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বোঝার জন্য সারা উত্তরবঙ্গ কোচবিহার থেকে মালদা ছুটে গিয়েছি, ব্যাকরণ,মধ্য- আধুনিক সাহিত্যকে একসময় ভালোবেসে ফেলেছি। জানিনা কতটা পেরেছি, তা আমার লেখা পড়ে পাঠকেরাই বুঝতে পারবে।
বর্তমানে আমি ‘খবরের ঘন্টা ‘,’ খোয়াই ‘ ‘খেয়া’ ‘ বিবর্তন’ ‘দশভূজা’,’ আরও অনেক পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত, এরজন্য ধন্যবাদ জানাই ফেসবুক ‘কে। আগামী দিনে বই প্রকাশের ইচ্ছে আছে।
আন্তর্জাতিক বাংলাভাষার একজন সদস্যা আমি, মাননীয় সজল কুমার গুহ মহাশয়ের (কাকু) সৌজন্যে।কাকু’কে আমার অন্তরের প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানাই। কাকুর একটি পত্রিকায় আমার কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।এছাড়া মাটিগাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্যা আমি, প্রধান প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস’কে এরজন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আগামীদিনে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই, নিজের কর্মজীবন ‘এ ভালো কাজ করে যেতে চাই।
আমার ঠাকুর মহারাজ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী পরমহংসদেব’র চালিত আদর্শ পথেই নিজের কর্মের মধ্য দিয়ে, জ্ঞানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলব আমৃত্যু।