প্লাজমা দান করতে চান করোনা-জয়ী সমাজসেবী শিবেশ ভৌমিক

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করার পর সমাজসেবী শিবেশ ভৌমিক জানালেন, তিনি প্লাজমা ব্যাঙ্কে প্লাজমা দান করতে চান। তাঁর কথায়, যারা করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন তাঁরা সকলেই সমাজের সম্পদ। তাদের প্লাজমা দিয়ে আর একজন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হতে পারেন। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিবেশবাবু।

গত ১০ জুনের আগে লালা রস পরীক্ষা করলে শিবেশবাবুর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাকে ভর্তি হতে হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া ডিশান সারি হাসপাতালে। সেখানে টানা কদিন ধরে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। শুক্রবার রাতে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। এই কদিনে ডিশানের চিকিৎসক, নার্সদের আন্তরিকতা এবং সেবা কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, সত্যি ডিশানের চিকিৎসার কোনও তুলনা হয় না।

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে শিবেশবাবু আরও বলেছেন, প্রতিদিন তিনি সেখানে ব্যায়াম করেছেন। তার সঙ্গে গরম জলের ভাঁপ নিয়েছেন। সকালে রুটি কলা ডিম খেতে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে মুরগির মাংস ভাতও খেতে দেওয়া হয়। যদিও তিনি মুরগির মাংস খান না। তার পরিবর্তে ডিমের ঝোল ভাত খেয়েছেন। দুপুরে ভাত খাবার পর আনারস, মোসাম্বি খেতে দেওয়া হয়েছে।রাতেও ভাত সব্জি মুরগির মাংস। প্রতিদিন তাকে একটি করে ভিটামিন সি ট্যাবলেট, জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে দেওয়া হয়েছে।এর পাশাপাশি অন্য ওষুধ। ডাক্তাররা পি পি ই কিট পড়ে থাকার অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যেও রোগীর সেবায় উৎসর্গীকৃত। যা কখনোই ভোলার নয়।

শিবেশবাবু আরও বলেছেন, তিনি অন্য অনেক রোগীর সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন। হাসিমজা করেছেন। করোনা হয়েছে তা তিনি বুঝতেই পারেননি। সবসময় ইতিবাচক ভাবনা ছিলো মনে। করোনাকে হারাতেই হবে এই ছিলো চিন্তা। তার কোনও করোনা উপসর্গ ছিলো না যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি। তবে ডিশানের মধ্যে উপসর্গহীনদের উপসর্গ বোঝার জন্য অনেককেই নাক দিয়ে সাবান শোঁকানো হয় তার গন্ধ আছে কিনা বোঝার জন্য। কারও আবার মুখের স্বাদ পরীক্ষা করা হয়। আমাকে সাবান শোঁকানো হয়। দুদিন গন্ধ পাইনি। তাতেই বোঝা যায় আমার করোনা উপসর্গ। এরপদ দুদিনের মধ্যে আবার গন্ধ চলে আসে। তারপর ছুটি। করোনাকে জয় করে আসার পর শিবেশবাবু তার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সাদর অভ্যর্থনা পেয়েছেন। কেও তাকে অচ্ছুৎ বলে দূরে সরিয়ে দেয়নি। এই অবস্থায় করোনায় সেরে ওঠাদের দূরে ঠেলে না দেওয়ার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।