হাড় হিম করা শীতে মা সারদা স্মরনে শীত বস্ত্র দান দার্জিলিংয়ের নিবেদিতা গ্রামে

বাপি ঘোষ ঃ মঙ্গলবার রাতে দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস। হাড় হিম করা এই শীতেও মা সারদার জন্মতিথিতে দার্জিলিংয়ের নিবেদিতা গ্রামে সোয়েটার, জ্যাকেট বিলি হল। দার্জিলিং রায় ভিলার রামকৃষ্ণ মিশন ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের তরফে ওই মানবিক কর্মসূচি গ্রহন করা হয় বুধবার।

এদিন সর্বত্র মা সারদার জন্মতিথি উদযাপন করছেন রামকৃষ্ণ অনুরাগীরা। দার্জিলিংয়ে কদিন ধরেই শীত বস্ত্র বিলির মাধ্যমে মানবিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। এদিন সেই কর্মসূচি ছিল নিবেদিতা গ্রামে। সমতল থেকে ৬৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই নিবেদিতা গ্রাম। ১৯১১ সালের ১৩ অক্টোবর সিস্টার নিবেদিতা সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। সেখানে নিবেদিতার সমাধিও রয়েছে। আর সেখানেই ১৯৯৩ সালে তৈরি হয় নিবেদিতা গ্রাম। গ্রামে এখন ৮০০ জন মানুষের বসবাস। গ্রামের সম্পাদক সমীর গুরুং জানালেন, তাদের গ্রামে পানীয় জল ও শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে।
রামকৃষ্ণ মিশন ভগিনী নিবেদিতা শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বামী নিত্যসত্যানন্দ মহারাজ ও অন্যরা প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে সেখানে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে নিজেদের সঁপে দিয়েছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ ও ভগিনী নিবেদিতার আদর্শ তাদেরকে এই মহৎ সেবার কাজে উদ্বুদ্ধ করে। স্বামী নিত্যসত্যাননদ জানালেন, এদিন ওই গ্রামে ১৪৬ জনের হাতে গরম বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিলিগুড়ি দুই মাইল জ্যোতিনগরের শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটিও বুধবার সারদা মা স্মরনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করে বলে সোসাইটির তরফে শ্যামল সরকার ও কমল মজুমদার জানিয়েছেন।