শিল্পী পালিত ঃ খবরের ঘন্টা উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে দক্ষিনবঙ্গ এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। খবরের ঘন্টার ফেসবুক পেজ এবং ফেস বুক গ্রুপ নিয়মিত নজরে রাখলেই বুঝতে পারবেন। এর কৃতিত্ব খবরের ঘন্টার অসংখ্য পাঠক, দর্শক, শ্রোতাদের। আজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে বেলঘরিয়ার সুমিতা মুখার্জীর কথা মেলে ধরা হচ্ছে। আপনার সবাই মিলে এই লেখা এবং খবরের ঘন্টার পেজকে আরও বেশি বেশি শেয়ার করে খবরের ঘন্টাকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করুন—-
সম্পর্কের বাঁধন বা বাঁধন ছেঁড়া নীল আকাশের পাখি…..
এই দুটোর মধ্যে কোথাও যেন একটা মিল পাওয়া যায়।
আর সেই মিলের গোপণে যে অন্তমিল, সেখানেই আমার কবিতার বাস। বা সুবাসও বলা যেতে পারে!
আমি কবি নই। কবিতে সমাহিত এক নারী! কবির জন্য কখনও তুঁতেকালি আবার কখনও সুমিও।
‘শুধু তোর জন্য’, ‘আমার আকাশতীরের বন্ধু’, ‘তোর কবিতারা ও ভালোবাসা যেখানে শূন্যতা’ আমার লেখা এই তিনটে কাব্য গ্রন্থতেই আমার সাথে আমার ‘মন’এর প্রেমিক হৃদয়ের এক নিবিড় খোঁজের শব্দবন্ধনী!
আমাদের সন্তানসম পত্রিকার ‘ছায়াপথ’এর মা রূপী সম্পাদক আমি।
পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কাছে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা, মায়ের শাসন, বাবার আদরে বড় হয়ে ওঠার গল্পটা আজও স্মৃতির সরণীতে সংবেদনশীল হয়ে রয়েছে।
আমার খুব ভালোবাসার সঙ্গী এবং ছায়াপথ পত্রিকার কর্ণধারদের মধ্যে অন্যতম, #দেবযানী সেনএর আন্তরিক অনুরোধে আমার এই লেখা।
আজ নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে নিজের শিরদাঁড়া সোজা রেখে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা আজও মানুষ ও প্রকৃতির মুখের কথা বলে, মুখোশের নয়! এটুকুই আমার প্রাপ্তি।
ছোটোবেলা কেটেছে সিঁথির কাছে বরানগর অঞ্চলে স্বচ্ছল পরিবারে।স্কুল জীবন থেকেই লেখালিখির সুত্রপাত। কলেজ জীবনে ম্যামের(মল্লিকা সেনগুপ্তের) সাহচর্যে ও ভালোবাসায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করি।
নবকল্লোল, আত্মপ্রকাশ, কোরোক এরকম আরো পত্রিকায় তখন আমার লেখা পর পর বের হতে থাকে।সেই সময় থেকেই কলকাতা বইমেলা আমার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়।
বাবা মা দুজনেই সরকারী চাকরী করা সত্তেও সাহিত্যের প্রতি খুব অনুরাগী ছিলেন। আমাদের বাড়ীতে বাবার সংগৃহীত দেশ বিদেশের বহু বইএর সম্ভার ছিল। আমার সাহিত্য প্রেমের শুরু মূলত সেখান থেকেই।সে সময় বেশ কিছু বারো ক্লাসের সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীদেরও পড়ানোর সুযোগ ঘটে।বিয়ের পর প্রায় দশ বারো বছর এই ভালোবাসায় বেশ খানিকটা ছেদ পড়ে
শুরু জীবনের অন্য মানে!
কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা তো কখনওই মরতে পারেনা। তাইনা?
সোশ্যাল নেটওয়ার্কের দুনিয়ায় এসে আমার থেমে যাওয়া পথচলা আবার নিজের ছন্দে চলতে শুরু করে।শুরু হয় জীবন যুদ্ধ।
লেখালিখির জগতে এসে যেমন বহু স্বনামধন্য কবি সাহিত্যিকদের সাথে আলাপ পরিচিতি হয়েছে। তেমনই পেয়েছি অজস্র সন্মান।
তবে কথায় বলে বিশেষত বাঙালী কাঁকড়ার জাত। তাই যাতে আমার কলম বন্ধ হয়ে যায় তারজন্য বহু মানুষ বহু প্রচেষ্টা চালিয়েছে।সব নেতির পেছনে একটা ইতিবাচক দিকও থাকে। তাই খারাপের বদলে বরং উল্টোটাই হল আমার।
আজও ঘরে বাইরে এভাবেই যুদ্ধ জারি রয়েছে আর থাকবেও।
মা একটা কথা বলতো, যার জীবনের কোনো ইতিহাস নেই, তার আবার জীবন কিসে??
সত্যিই তাই।
তাই মানুষকেই পাথেয় করে এভাবেই না হয় চলতে থাকুক আমার পথ চলা!
–সুমিতা মুখার্জ্জী
3/1 Udayan pally,D P nagar,Belghoria,kol 56