শিল্পী পালিতঃ আজ আত্মকথায় শিলিগুড়ি লেকটাউনের বেহালা শিল্পী কুহেলিকা দাসের কথা মেলে ধরা হলো —
“গানই আমার জীবন ওগো
গানই আমার কাঁদা হাসা”
কুহেলিকা দাস
ঠিকমতো হয়তো কথা বলতে শিখিনি কিন্তু সবসময় গুনগুন করতাম মায়েরটা শুনে শুনে। হ্যাঁ আমার মা শ্রীমতি
সঙ্গীতা দাস আমার প্রথম গুরু।
বয়স তখন তিন কি সাড়ে তিন সংগীতচর্চায় আমার প্রথম হাতে খড়ি হয় শ্রী গৌরাঙ্গ মন্ডল এর কাছে। তার কাছে আমি ভরতনাট্যম নাচও শিখতাম তবে সংগীত আমার কাছে বেশী প্রিয় হয়ে দাঁড়ায়।মায়ের কাছে শুনতাম মা আমাকে একদম ছোট অবস্থা থেকেই আমার বড় মামা শ্রী গৌতম বিশ্বাস যখন তবলা বাজাতেন তার সামনে রেখে দিতেন আর আমি নাকি দিব্যি শান্তভাবে তবলা শুনতাম।
সংগীত চর্চা ভালো ভাবেই চলতে থাকে কিন্তু জীবনে এমন কিছু সময় আসে যা মানুষকে প্রচুর বেদনা দিয়ে চলে যায়। আমার জীবনেও এমন এক সময় এসেছিল যা আমার সঙ্গীতচর্চাকে বন্ধ করে দেয়। আমি যখনই রেওয়াজ করতাম আমার গলা বসে যেত এবং টনসিল ফুলে জ্বর আসত। তাই সঙ্গীতচর্চা সেখানেই বন্ধ হয়ে গেল।কিন্তু সকলের আশীর্বাদ ও প্রেরণায় আমি যন্ত্রসংগীতকে আমার জীবনের সাথী করলাম। বেহালায় আমার হাতে খড়ি শ্রী সুজন অধিকারী মহাশয় এর কাছে। তারপর শ্রীবৃন্দাবন সাহা এবং শ্রী সুজিত বিশ্বাস মহাশয় এর কাছে তালিম নিই।
বর্তমানে পদ্মভূষণ বিদুষী Dr. N Rajam (বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ Hindustani classical violinist এর মধ্যে একজন, আম্মাজি) কাছে তালিম নিচ্ছি।ভগবানের আশীর্বাদে বিয়ের পরেও আমার শশুর শাশুড়ি এবং আমার জীবন সঙ্গী শ্রী দেবাশীষ সাহা আমার যন্ত্র সঙ্গীত সাধনায় অনবরত অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।গত 16 বছরের এই যন্ত্রসংগীত সাধনায় আমি যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি ভগবানের কাছে আমার এটাই কামনা।আমার সমস্ত শ্রোতা বন্ধুদের আমার ভালোবাসা এবং গুরুজনদের আমার প্রণাম।
Kuhelika Das
Lake Town, Lokenath Sarani
P.O. – Bhaktinagar, Dist- Jalpaiguri, Pin -734007