উত্তরবঙ্গে বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহন প্রত্যক্ষ করতে বাধা বৃষ্টি

নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ২১ জুনঃ করোনা আবহের মাঝেই এবছর এক মহাজাগতিক বিষয়ের সাক্ষী থাকল গোটা ভারতবর্ষ। প্রত্যক্ষ করল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন। ইন্দো-পাক সীমান্ত ভারতের পাকিস্তান সীমান্ত রাজস্থানের সুরাতগড়, শিড়ষা, মোদিমঠ, দেরাদুন, যমুনা নগর ও কুরুক্ষেত্র থেকে বলয়গ্রাসের নিসর্গ দৃশ্য রিং অফ ফায়ার প্রত্যক্ষ করা গেলেও উত্তরবঙ্গের আকাশে সূর্য ঢাকা পড়েছিল ৮০ শতাংশ। উত্তরবঙ্গে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন প্রত্যক্ষ করার ক্ষেত্রে বাধ সাধল বৃষ্টি।

রবিবার সকাল ১০ টা ৪৭ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে গ্রহন লাগে উত্তরবঙ্গের আকাশে। আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল বিরল এই মহাজাগতিক দৃশ্য প্রত্যক্ষে বাধ সাধতে পারে বৃষ্টি। সেই আশংকাকে সত্যি করেই উত্তরবঙ্গের আকাশ এদিন সকাল থেকেই ছিল মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে দু এক পশলা বৃষ্টিও হয় গ্রহনের মাঝে। ফলে প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনায় হতাশ হতে হয়েছে উৎসুক মানুষজনকে। এদিন মহাজাগতিক দৃশ্য প্রত্যক্ষ করার জন্য শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ড সূর্যনগরে টেলিস্কোপ লাগিয়ে গ্রহন দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল সোয়ান। টেলিস্কোপে গ্রহন দেখতে মাইকেল স্কুল মাঠে ভিড় জমিয়েছিল স্কুল পড়ুয়া থেকে সব বয়সের মানুষ। অধিক সংখ্যক উৎসুক মানুষকে গ্রহন দেখানোর জন্য বিভিন্ন রকমের টেলিস্কোপ রাখা হয়েছিল মাইকেল স্কুল মাঠে।

কিন্ত প্রথম দিকে প্রকৃতি কিছুটা হতাশ করলেও গ্রহনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সময় পরিষ্কার হয় উত্তরের আকাশ। সেই সময় বহু মানুষকে চোখ রাখতে দেখা যায় টেলিস্কোপের লেন্সে। শুধু গ্রহন দেখানোই নয়, এদিন গ্রহন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে নানান তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু কুসংস্কার থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন সোয়ানের সম্পাদক দেবাশিষ সরকার।

ভারতের পাশাপাশি মহাজাগতিক এই বিরল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন প্রত্যক্ষ করল পাকিস্তান, চীন, তিব্বত, তাইওয়ান। এবছর ভারতের আকাশে মাত্র ৩০ সেকেন্ড দেখা গিয়েছে রিং অফ ফায়ার। কিন্ত ২০১০ সালের ১৫ই জানুয়ারি ভারতের আকাশে বলয়গ্রাসের স্থায়িত্ব ছিল ১১ মিনিট ৮ সেকেন্ড। ফের ভারতের আকাশে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহন দেখা যাবে ২০৩১ সালের ২১ শে মে।

জলপাইগুড়িতে বলয় গ্রাস সূর্য গ্রহণ দেখতে ভিড় উপছে পড়েছে জলপাইগুড়ি শহরের হাকিম পাড়ায় । রবিবার সকাল থেকেই হাকিম পাড়ার এক বাড়ির ছাদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রহণ দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সদস্যরা। এছাড়াও এখানে সহযোগিতা করেছেন স্কাই ওয়াচার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। গ্রহণ নিয়ে কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও প্রচার চালানো হয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা ।