নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনে সাড়া দিয়ে জনতা কারফিউয়ে সামিল হয় দেশবাসী। আবার বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার বিকেল থেকে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন শুরু হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।
সোমবার শিলিগুড়িতে বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল বলেন, করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ ঠেকাতে ভাইরাস চেইন ভেঙে দিতে সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সকলকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার আবেদন করেছেন। ডাঃ শীর্ষেন্দু পাল আরও বলেছেন, চিন, দক্ষিন কোরিয়া, সিঙ্গাপুর লকডাউনের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদের আইসোলেশন করেছে। এর পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আমাদেরকেও সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। সতর্কতার অঙ্গ হিসাবে হাতে গ্লাভস ব্যবহার করলে খুব ভালো। ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশ করে সাবান দিয়ে স্নান করে নিলে খুব ভালো। বাইরে বের হলে বাম হাত দিয়ে কোনও জিনিস ধরলে খুব ভালো। হাত ভালো করে না ধুয়ে নাকেমুখেচোখে হাত একদমই দেবেন না। খুব জরুরি না হলে এইসময় বাড়ির বাইরে একদম যাবেন না। যদি গড় অঙ্ক করে দেখা যায়, তবে হিসেব বলছে একজন করোনা আক্রান্ত বাজারে বের হলে তার থেকে ১৪ দিনে এক কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই ভয়াবহ রুপ নেওয়ার আগে এখনই ঘর বন্দি থাকা সঠিক দাওয়াই। তাতে সংক্রমণ অনেকটাই প্রতিহত করা যাবে। করোনা ভাইরাসের চেইন ভেঙে দিতে লকডাউন একটি বড় পন্থা। এইসময় বাড়িতে সকালে ব্যায়াম, বিকালে ধ্যান করা যেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাঠবাদাম, ওয়ালনাট, আখ্রোট খাওয়া যেতে পারে।
এদিকে শিলিগুড়ি সেভক রোডের আনন্দলোক মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের প্রধান কর্ণধার ডাঃ সুশান্ত রায় জানাচ্ছেন, তারা তাদের হাসপাতালে করোনা সতর্কতার জন্য প্রত্যেককে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরই প্রবেশ করতে বলছেন। সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তার পাশাপাশি বলেছেন, কোনও উপায় নেই। এখন সকলকে বাড়িতেই থাকতে হবে। খুব জরুরি না হলে বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সোস্যাল ডিসট্যান্স অবশ্যই তৈরি করতে হবে।