নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ আগে থেকেই তাদের মানবিক ও সামাজিক কাজ চলছিলো কিন্তু করোনা লকডাউনের পর তাদের মানবিক ও সামাজিক কাজের গতি আরও বেড়ে যায়। এখনও সেই মানবিক ও সামাজিক কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছে শিলিগুড়ির ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম। বৃহস্পতিবার সকালেও তাঁরা শিলিগুড়ি পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের একতিয়াশাল এলাকায় একটি অসহায় দুঃস্থ পরিবারের হাতে উপহার হিসাবে ত্রান পৌঁছে দিয়েছেন।
শিলিগুড়িতে একটি সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো। বিভিন্ন মহলে আলোচনা শোনা যেতো নতুন প্রজন্ম আর সামাজিক মানবিক কাজে এগিয়ে আসছে না। সেদিক থেকে ব্যতিক্রমী নজির তৈরি করেছে ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম। এই টীমের প্রধান কর্ণধার শক্তি পাল। অসম রাইফেলসে কাজ করার ফাঁকে তিনি এই সামাজিক কাজের গতি এনেছেন।
শিলিগুড়ি একতিয়াশালের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কদিন আগে মৃত্যু হয় এক নার্সিং হোমে।মৃতদেহ দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নার্সিং হোম থেকে খবর আসে, মৃতদেহ ফিরিয়ে দিতে হবে। কারন মৃতের লালারস পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ এসেছে। এরপর মৃতদেহ স্বাস্থ্য প্রশাসনকে তুলে দেওয়া হলেও শ্মশান যাত্রীদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু হোম আইসোলেশনে থাকতে গিয়ে এক রং মিস্ত্রীর পরিবার সমস্যায়। বৃহস্পতিবার খবরটি পেয়ে শিলিগুড়ি ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম ওই পরিবারকে বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। ইউনিকের এই কাজে খুশি ওই রং মিস্ত্রীর পরিবার। শক্তি পাল জানিয়েছেন, শিলিগুড়ির বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় তাঁরা ধারাবাহিকভাবে এই মানবিক ও সামাজিক কাজ চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যে করোনায় সুস্থ হওয়া রোগীদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁরা বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবা শুরু করেছেন। টোটো চালক মুনমুন সরকার এগিয়ে এসেছেন তাদের সঙ্গে এম্বুলেন্স নিয়ে।