বাবা ট্রাক চালক, আর মেয়ে? উচ্চ মাধ্যমিকেতো তাক লাগালো এই মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  বাবা ট্রাক চালক।আর মেয়ে? মেয়েতো এক মেধার সূর্য। উচ্চ মাধ্যমিকে নজর কেড়ে নিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগর মুরলীগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী মৌসুমি রায়। বাবা ট্রাক চালক হলে হবে কি,মেয়েকে শিক্ষায় এগিয়ে দিতে যান বাবা মতুরা রায় কিন্তু প্রতিবন্ধকতা হলো আর্থিক সঙ্কট।মৌসুমী ৪৫১ নম্বর পেয়েছে। সোনাপুরের গ্রাম থেকে স্কুলে পড়তে আসে মৌসুমী।ওর স্বপ্ন অধ্যাপিকা হওয়ার।
এই স্কুলেরই আরেক ছাত্রী সেহিনী কর ৪৫১ নম্বর পেয়ে আলোকের ঝর্ণা ধারায় যেন ভরিয়ে দিয়েছে গোটা স্কুলকে।

মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিক। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরের মুরলীগঞ্জ হাইস্কুল উচ্চ মাধ্যমিকেও নজর কেড়ে নিয়েছে ।গ্রামের প্রান্তিক ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে এই স্কুলে। আর সেই সব ছেলেমেয়েকে বিশেষ কোচিং দিয়ে ঘষেমেজে তৈরি করেন ওই স্কুলের শিক্ষকশিক্ষিকারা। যার প্রধান কান্ডারী প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষা রত্ন সামসুল আলম। বুধবার সামসুলবাবু জানিয়েছেন, তাদের স্কুল থেকে ১১৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তারমধ্যে ১১৪ জনই পাশ করেছে। স্টার পেয়েছে ১৮ জন।৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে দুজন।৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১৬ জন।৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৪২ জন।ফলে সদিচ্ছা থাকলেই যে উপায় হয় তার প্রমান দিয়ে আবারও শিক্ষাপ্রেমী মানুষদের কাছে আলোচ্য বিষয় মুরলীগঞ্জ হাই হাইস্কুল। আর অবশ্যই চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে ট্রাক চালকের কন্যা রত্ন মৌসুমী।সঙ্গে সোহিনীতো রয়েইছে।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —–