নাচ করলেই সব মন খারাপ দূর হয় ঈশিতার

শিল্পী পালিতঃআজ মাটিগাড়া শিবমন্দিরের নৃত্য শিল্পী ঈশিতা দের আত্মকথা মেলে ধরা হচ্ছে । সকলের কাছে আবেদন, আপনারা খবরের ঘন্টার ওয়েবপোর্টাল নিউজের বিভিন্ন পোস্টকে শেয়ার করে এই পোর্টালকে এগিয়ে দিতে সহায়তা করুন–

আমি ঈশ্রিতা দে। আমি আমার জীবনে নাচের ভূমিকা ও অবদান সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। ২রা নভেম্বর শুক্রবার নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজে আমার জন্ম। আদর করে আমার বড়মা আমার নাম রেখেছিল ঈশ্রিতা। ছোটবেলা থেকে এখনো পর্যন্ত বড় হয়ে ওঠা আমার শিলিগুড়িতে। ঠাকুমা, মা-বাবা , জেঠু জেঠি ,দাদা বৌদি ,সবাইকে নিয়ে আমাদের পরিবার। একান্নবর্তী পরিবারে মানুষ হয়েছি আমি। এছাড়া আরো অনেকেই ছিলেন। আমি হওয়ার পর থেকে আমার মা’র ইচ্ছা ছিল নাচ শেখানোর তাই আমার মা তিন বছর বয়স থেকে আমাকে নাচ শিখিয়েছে। আমি প্রথম নাচ শিখেছি শ্রী মলয় চক্রবর্তী মহাশয়ের কাছে,তার কাছেই আমার প্রথম হাতেখড়ি। দীর্ঘ কয়েক বছর সেখানে শেখার পর আমি শ্রীমতি সুজাতা চ্যাটার্জি, শ্রী অয়ন ভট্টাচার্যের কাছে নাচ শিখি। তাদের কাছে আমি প্রায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নাচ শিখছি। আর এই নাচ শেখার পেছনে আমার মা বাবার অবদান অনস্বীকার্য।তারা আমাকে সবসময় সাহস ও উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন। যদিওবা আত্মীয়স্বজন ও পারিপার্শ্বিক নানান মানুষের প্রচুর আপত্তি ছিল।তবুও আমার পরিবারের সহযোগিতায় আমি এখনও নাচটাকে ধরে রাখতে পেরেছি।

দীর্ঘ আট বছর ধরে আমি কত্থক,ভারতনাট্যম,রবীন্দ্রনৃত্য, ক্রিয়েটিভ বিভিন্ন ধরনের নাচ করে আসছি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি নাচে অংশগ্রহণ করেছি এবং সেখানে প্রচুর মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছি। বহু জায়গায় আমি পুরস্কার পেয়েছি। আমার খুব কাছের বোন এবং অনেক ছোট ছোট বাচ্চাদের আমি যতটুকু জানি সেটুকু দিয়ে তাদেরকে নৃত্যচর্চা করিয়ে থাকি এবং তাদের দিয়েও অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণও করিয়েছি।
এই নৃত্যের জীবনটাকে আমি খুব ভালোবাসি। মন খারাপের সময় মনে হয় যেন নাচ করলে আমার সমস্ত মন খারাপ দূর হয়ে যায়। যতদিন সম্ভব আমি এই নৃত্য সাধনাকে আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে রাখতে চাই।

” আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে”।

শিবমন্দির। মাটি গাড়া