শিল্পী পালিতঃআজ আত্মকথায় শিলিগুড়ি সেন্ট্রাল কলোনির নন্দিনী চক্রবর্তীর কথা মেলে ধরা হচ্ছে—
আমি নন্দিনী চক্রবর্তী।
কিছু বলতে গেলে। গানটাই প্রাধান্য পায় আমার জীবনে আর কোন কিছু ভাবি নি সেইরকমভাবে। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান সেতো শিরায় শিরায়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অবশ্যই মনেপ্রাণে কিভাবে ছেয়ে গেল? মনের অজান্তেই। বুঝতে পারিনি। আসলে আমার বড় হয়ে ওঠাটা ছিল এই গানের পরিবেশেই। আমার মামার বাড়িতে অনেক গুণীজন আসতেন। তাদের দেখেছি গান গাইতে। মৃগাঙ্ক দাদুকে আমি দেখেছি অদ্ভুত খোল বাজাতে । যিনি কীর্তনীয়া শ্রীমতি ছবি বন্দোপাধ্যায়ের সুরকার ছিলেন। ভবানীপুরে আমার দিদার বাড়িতে অখিল বন্ধুর গান শুনেছি প্রাণভরে। তখন আমি খুব ছোট ৫ কি ৬? গানকেই অঙ্গ করে বড় হয়েছি। গানের তালিম দেন বিষ্ণুপুর ঘরানার ছকু লাল সিংহ মহাদেব। বিষ্ণুপুরে থাকাকালীন বিষ্ণুপুর ঘরানার একজন শিক্ষককে পেয়েছিলামl ওনার কাছে আমি ধ্রুপদ শিখতাম আমার ধ্রুপদ গাইতে ভালো লাগতো। মাথায় ভুত চাপলো। গান নিয়ে পড়াশোনা করব। তারপর রবীন্দ্রভারতীতে পরীক্ষা দেওয়া এবং ভর্তি হওয়া। ওখানে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে যখন মাস্টার্স করছি তখন আমাদের হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট ছিলেন সুমিত্রাদি। আমি মূল গান শিখেছি নীহার রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। স্বপ্নাদির ‘চোখের জলে’ শেখানো পূরবীদীর ‘হে নিখিল ভারত’ ,সুমিত্রাদির ‘আমি যখন ছিলাম অন্ধ’,বুলবুলদির ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’,অরবিন্দদার ‘এ মোহ-আবরণ’,অবশ্যই মায়া দির ‘এ পরবাসে রবে কে’, মৃগাঙ্কদার ‘ফিরে ফিরে ডাক দেখি রে’,এখনো আমি কানে শুনতে পাই মনে হয় আমাকে ওনারা গান শেখাচ্ছেন। আমি মায়াদির কাছে অনেকদিন তালিম নিয়েছি।শিলিগুড়ি শহর আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে l শ্রদ্ধেয়া কুমকুমদি এবং দাদার অবদান আমার জীবনে অনেক। শ্রদ্ধেয়া ডক্টর পুবালি দেবনাথ এর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি । সবশেষে অনেক ধন্যবাদ জানাই খবরের ঘন্টা এবং শিল্পীদের যাদের ব্যবস্থাপনায় আমি আপনাদের সামনে আসতে পেরেছি।
Qr No. 342/B, সেন্টাল কলোনী