উত্তরবঙ্গের আদিম জনজাতি ধীমালদের গ্রামে ত্রান পৌঁছালো শিলিগুড়ির ইউনিক ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনার জন্য দেশে চলছে লকডাউন। আর সেই লকডাউনের ফলে বহু গরিব মানুষ, দিনমজুর সমস্যায় পড়েছেন। আর এতে অন্য অনেক গ্রামের মতো উত্তরবঙ্গের আদিম জনজাতি ধীমাল সম্প্রদায়ও সমস্যায় পড়েছে। এই অবস্থায় সোমবার শিলিগুড়ির ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম নকশালবাড়ির ধীমাল অধ্যুষিত গ্রাম কেটুগাবুরজোতে পৌঁছে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিলো। তাদের পাশে সহায়তা করলো খবরের ঘন্টা।

সবাই মুখে বেঁধে ছিলেন। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। কেটুগাবুরজোত গ্রামের বহু ধীমাল সম্প্রদায়ের মানুষ গরিব। অনেকেই দিনমজুর। লেখাপড়া তাদের অনেকে সেভাবে জানেন না। লকডাউন তাদেরকে চরম আর্থিক সঙ্কটে ফেলেছে। কিন্তু তারা করোনা সতর্কতা মেনে ত্রান গ্রহণ করলেন।
এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়ি ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের সমাজসেবী শক্তি পাল এবং অন্যরা কেটুগাবুরজোত গ্রামে পৌঁছে যান। তাদেরকে সহায়তা করেন ধীমাল সম্প্রদায়ের প্রানপুরুষ তথা শিক্ষক গর্জেন কুমার মল্লিক। শৃঙ্খলা মেনে সকলকে ত্রাণ গ্রহনের জন্য আবেদন করেন গর্জেনবাবু। তার আগে খবরের ঘন্টা গর্জেনবাবুকে যোগাযোগ করিয়ে দেয় গর্জেনবাবুর সঙ্গে। শক্তি পাল জানিয়েছেন, এদিন তাঁরা ওই গ্রামে গিয়ে বিনামূল্যে বাজার বসান। সেখানে থাকে চাল, ডাল, লবন, সরষে তেল, মশলা, দুধের প্যাকেট, সয়াবিন, পুষ্টিকর খাবার, সাবান, মাস্ক, শাকসবজি, বিস্কুট প্রভৃতি। গর্জেনবাবু ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের এই সেবামূলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতো ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম বিভিন্নরকম সামাজিক ও মানবিক কাজের মাধ্যমে শিলিগুড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজির তৈরি করেছে।
শক্তি পাল আরও জানিয়েছেন, এদিন বনমালা নাট্য গোষ্ঠী টিম থেকে ৫৫ জনকে একদিনের খাবার ও শিলিগুড়ির বন্ধু মহিলা whatsapp group থেকে 30 জনকে শুকনো খাবার প্রদান করা হয়।