শিল্পী পালিত ঃ আজ আত্মকথা বিভাগে নকশালবাড়ির কৃষক সন্তান সুমন কুমার বর্মনের কথা মেলে ধরা হলো। ভাওয়াইয়া সহ নানান লোকগান শিখিয়ে চলেছেন সুমন—-
আমি সুমন কুমার বর্মন।দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি ব্লকের রঘুজোত গ্রামে আমার বাড়ি এবং সেখানেই লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা ।নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।বাবা পেশায় কৃষক,তবুও চলার পথে আমার কোনোরকম অসুবিধা হয়নি।
বাবা মায়ের আশির্বাদে এবং তাদের হাত ধরেই আমি এতটা এগোতে পেরেছি।আমার পরিবারের সকলেই সঙ্গীত প্রেমী। কন্ঠ ও যন্ত্র সঙ্গীতে সকলেই পারদর্শী।আমার সঙ্গীত জীবন তাদের হাত ধরেই শুরু হয়। প্রথমে আমি শ্রীখোল শিখি। তখন আমার বয়স এগারো। ক্লাস ফাইভ এ পড়াশুনা করি।এত কম বয়সেই আমি শ্রীখোল বাজিয়ে সুনাম অর্জন করি। তারপর বাড়ি থেকে উৎসাহ পেয়ে পড়াশুনার সাথে সাথে গানের দিকেও আকৃষ্ট হই।গান করেও বেশ ভালই সুনাম অর্জন করি। আমার গান শুনে ভালোই বলতে শুরু করে সকলে। ইচ্ছা হলো যদি হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করতে পারতাম তাহলে আরো ভালো হত। যেমন কথা তেমন কাজ! বাবা ও বড় মামার হাত ধরে হারমোনিয়াম শিখি।তারপর গানের সাথে সাথে একে একে তবলা,দোতরা,খমক শিখি। এখন আমার আয়ত্তে আছে ভাওয়াইয়া সহ বিভিন্ন বাংলা লোক সঙ্গীত, হারমোনিয়াম, শ্রী খোল,তবলা,দোতরা, খমক,ইত্যাদি। ফেসবুকের মাধ্যেমে বিশিষ্ট গুনীজনদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়।সঙ্গীত প্রতিযোগিতা মূলক মঞ্চে পারফরমেন্স করি এবং আপনাদের আশির্বাদে বিভিন্ন সংস্কৃতিক মঞ্চে পারফরমেন্স করে চলেছি। এখন আমি নিজেই আমার প্রাণের শহরে সঙ্গীত তীর্থ ইন্সটিটিউট খুলেছি সেখানে ভাওয়াইয়া সহ বিভিন্ন বাংলা লোকগান,শাস্ত্রীয় সঙ্গীত,গিটার,তবলা,নাচ,শেখানো হয়। আমার ইচ্ছে এভাবেই যেন আমি আমার সঙ্গীত জীবনে সমাজ ও দেশের জন্য কিছু করতে পারি ।
🙏নমস্কার 🙏